মো. আল-আমিন : পুষ্টির অভাবে বাংলাদেশে ৫বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের উচ্চতা ও ওজন বয়সের তুলনায় কম হচ্ছে। আর ১৪ শতাংশ কৃশকায়। একইভাবে তাদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পার্সটুডে
বিশেষজ্ঞের মতে, অপুষ্টির শিকার শুধু পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরাই নয়, কিশোরকিশোরী, প্রস‚তি মা, এমনকি প‚র্ণবয়স্ক নারী-পুরুষদের মধ্যেও অপুষ্টির মাত্রা উদ্বেগজনক। পরিণত বয়সের আগেই মা হয়েছেন এমন নারীদের মধ্যে অপুষ্টির হার উদ্বেগজনকভাবে বেশি। মায়েদের অপুষ্টির কারণে নবজাতক ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরও পুষ্টির অভাব ঘটে।
এ প্রসঙ্গে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম এম হক বলেছেন, যেসব শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে তারা সহসাই ঘন ঘন জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কানপাকা- এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
শিশুদের অপুষ্টির কবল থেকে রক্ষার জন্য তিনি পরামর্শ দেন, জন্মের প্রথম ছয়মাস শুধু বুকের দুধ ও এরপর ঘরে তৈরি সুষম খাবার দিতে হবে। ধীরে ধীরে তাদের খাবার তালিকায় ফল, শাকসবজি, মাছ, ডিম ও মাংসের প্রোটিন যুক্ত করতে হবে এবং সময় মত প্রতিষেধক ইনজেকশন দিতে হবে। তাছাড়া ডায়েরিয়া বা নিউমোনিয়ার পর শিশু দুর্বল হয়ে যায় বলে তাকে অতিরিক্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। সুস্থ সবল শিশুর জন্ম দানের জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।
ওদিকে সরকারের পুষ্টি প্রকল্পের সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, দারিদ্র্য হ্রাস, সম্পদ বৃদ্ধি ও শিক্ষিত মা-বাবার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ার ফলে গত এক দশকে পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এর গতি অত্যন্ত ধীর। তাছাড়া, অপুষ্টির কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে, যেগুলো দুর করতে হলে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার বণ্টনব্যবস্থার বৈষম্য কমাতে হবে।