শিমুল মাহমুদ : নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি। ইতোমধ্যে মৎস্যজীবী দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতী দলসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী দলের পূর্ণাঙ্গ ও আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে অন্যান্য সংগঠন ও জেলা বিএনপির কমিটি। পাশাপাশি রাজনৈতিক দুই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোটের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল, তা অনেক অংশে কমেছে।
সূত্র জানায়, নেতাকর্মীরা যেকোনো উপায়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তার সুচিকিৎসা চায়। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের জন্য শীর্ষ নেতাদেরকে চাপ দিচ্ছে। নেত্রীর মুক্তি মিলবে- এমন কানাঘুষার মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এসব অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতাদেরকে সমালোচনা করছেন এবং তাদের কাছে নেত্রীর মুক্তি কেনো মিলছে না, তা জানতে চাইছেন। অনেক সময় কর্মীদের এ প্রশ্নে বিব্রত হচ্ছেন শীর্ষ নেতারাও। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট ও জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা। বাদ যাননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের র্শীষ নেতা ড. কামাল হোসেনও। তিনি কর্মীদের দাবির মুখে বিব্রত বোধ করেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনের কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির আন্দোলন স্তিমিত ছিল। প্যারোল ইস্যুটা সামনে আসায় কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে, সে রকম কিছু না। ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম ছিল, এটা বিভিন্ন পর্যায়ে, বিভিন্নভাবে চলছিল। কখনও একটু জোরদার, কখনও একটু কম ছিল।
সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, প্যারোল ইস্যুর জন্য নয়। দেশের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন আগে থেকেই চলছিল, নির্বাচন উপলক্ষে কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। নির্বাচনের পর দলকে সাংগঠনিকভাবে সুসংগঠিত করতে তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমাদের অঙ্গসহযোগী সংগঠনসমূহ গোছানোর কাজ চলছে এবং নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন চাঙ্গা হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশনেত্রী আর বেশি দিন জেলে থাকবেন না। তাকে আর বেশি দিন কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না সরকার। ছাত্ররা জেগেছে, জনগণ জেগেছে- এবার বেগম জিয়ার মুক্ত হবেই হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন নেই, আন্দোলন চলছে। অপেক্ষা করতে হবে গণঅভ্যুত্থানের জন্য। সেটা দিনক্ষণ ঠিক করে হবে না।