শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানো প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে

ডেস্ক রিপোর্ট : নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানো নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। অনেকে এটাকে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির পরিবতর্ন বলে তা করতে নিষেধ করেন। অনেকে আবার বলেন, নারীদের অলংকার পরিধানের জন্য নাক বা কান ফোঁড়ানো সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তনের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন নয়। বরং নারীদের নাক ও কানে অলংকার পরিধানের জন্য নাক ও কান ফোঁড়ানো জায়েজ। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে।আওয়ার ইসলাম।

হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি, আপনি আজহা বা ফিতরের কোনো ঈদে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। অবশ্য তার সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তার সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না। তিনি আরও বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন, এরপর খুতবা দিলেন। ইবনে আব্বাস (রা.) আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। এরপর তিনি মহিলাদের কাছে এলেন এবং তাদেরকে ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদেরকে দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিচ্ছে। এর পর হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর গৃহে গমন করলেন। (সহিহ বোখারি: ৫২৪৯)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। এর পূর্বে ও পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। তারপর তিনি নারীদের কাছে আসলেন। সঙ্গে ছিল হজরত বেলাল (রা.)। তারপর তিনি নারীদের দান করতে আদেশ দিলেন। তখন নারীরা তাদের কানের দুল ও গলার হার দান করতে লাগল। (সহিহ বোখারি: ৯৬৪)

উপরের হাসিদ দ্বারা বুঝা যায় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো হতো। হাদিসে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা করা হয়নি। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ফরজ গোসল ও অজুর সময় যেন অলংকার ভেদ করে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। না হলে তার অজু-গোসল কোনোটাই হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়