শিরোনাম
◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০২:১৬ রাত
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০১৯, ০২:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করা সহজ নয়!

অসীম সাহা : ১৯৭৩ সালের দিকে আমি অখ- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর দলীয় মুখপত্র ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ পত্রিকায় চাকরি করতাম। ১৯৭১ সালের উত্তাল ঘটনাপ্রবাহের কারণে এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় ঐ বছরই আমাদের যে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন হবার কথা ছিল, সেটা আর হতে পারেনি বিধায় দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে ’৭৩ সালে পরীক্ষার ফল না বেরুনো পর্যন্ত আমি বেকার অবস্থায় এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করি। আমার তখন খুব চাকরির দরকার ছিল। অনেককেই বলার পরও, কিছুতেই চাকরি হচ্ছিল না। সেই সময় মেঘ না চাইতেই জলের মতো একদিন জগন্নাথ হলে আসেন গণকণ্ঠের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আফতাবউদ্দিন আহমেদ (পরে যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং তারও পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অবশেষে নারী-সংক্রান্ত কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়ায় বিতর্কিত হয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার কিছুদিন পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।) আফতাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়, আমার বোন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালীন অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক লীলা সাহার ব্যাচমেট ছিলেন। সে-সূত্রে এবং কবি হিসেবে তিনি আমাকে চিনতেন। আমাদের ক্যাফেটরিয়ায় আমার সঙ্গে আফতাবের পরিচয় করিয়ে দেয় তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত জগন্নাথ হলেরই একজন ছাত্র। সে আমার পরিচিত ছিল। আমার পাশের রুমেই থাকতো। পরিচয় হবার পর বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তিনি তাদের পত্রিকাতে যোগ দেয়ার জন্যে সরাসরি আমাকে প্রস্তাব দেন। আমিও একটি চাকরি পাওয়ার আনন্দে খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা না করে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। পরের দিনই আমি গিয়ে হাজির হই টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত গণকণ্ঠের অফিসে। আমি জানতাম, কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘গণকণ্ঠ’ পত্রিকায় চাকরি করেন। মনে মনে ভাবি, এখানে যোগদান করলে অন্তত একজন খ্যাতিমান কবির সঙ্গ পাওয়া যাবে। কিন্তু গিয়ে জানলাম, তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন। কবি আল মাহমুদ তখন ঐ পত্রিকার সম্পাদক। আমি চাকরি পেলাম ফিচার রাইটার হিসেবে। সেইসূত্রে আল মাহমুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায়। তখন উত্তর শাহজাহানপুরে আমরা প্রায় পাশাপাশি বাসাতেই থাকি। ভাবীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে এবং কবি মাশুক চৌধুরীকে খুব পছন্দ করতেন। তাই মাহমুদ ভাই না থাকলেও আমাদের কোনও অসুবিধা হতো না। আমরা আল মাহমুদের অনুপস্থিতিতেই ভাবীর হাতের চা-নাস্তা খেয়ে আসি। মাহমুদ ভাইও মাঝে মাঝে আমার বাসায় আসেন। চা খান, গল্পগুজব করেন।

তখন মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার, বলতে গেলে, অনেকটা পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর অধীনে কাজ করতে থাকি। আমার একটা অভ্যেস আছে, সংবাদপত্রের কাজে আমি নিজেকে খুব স্বচ্ছন্দ মনে করি এবং আপ্রাণ চেষ্টা করি নিজের সবটুকু মেধা দিয়ে ভালো রচনাসমূহ লেখার এবং পত্রিকাটিকে সুন্দর করে তোলার। গণকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ সম্ভবত আমার লেখা পছন্দ করেন এবং কিছুদিন পরেই আমাকে সহকারী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এতদিন ফিচার রাইটার ছিলাম, কোনও ঝামেলা ছিল না। কিন্তু সহকারী সম্পাদক হওয়ার পর থেকে আমাকে রাজনৈতিক সম্পাদকীয় এবং স্বনামে উপসম্পাদকীয় লেখা শুরু করতে হলো। সমস্যা বাঁধলো সেখানেই। কারণ এখানে লেখার ব্যাপারে নিজের তেমন কোনও স্বাধীনতা থাকে না। মাঝেমধ্যেই আফতাব এসে আমাদের যে নির্দেশ দিতেন, তা-ই আমাদের লিখতে হতো। ছাত্রজীবনে আমি কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও না। কিন্তু ভোট দেয়ার সময় কেন জানি না ছাত্রলীগকেই ভোট দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমার খুব ভালো লাগতো। ৬২ সালে ছয় দফা দেয়ার আগে তিনি একবার মাদারীপুরে গিয়েছিলেন। তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। আমাদের বাসার প্রায় লাগোয়া আমার বাবারই এক ছাত্রের বাসায় শেখ মুজিব আসবেন জেনে সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। ছিপছিপে গড়ন, মাথায় আলুলায়িত চুল, ব্যাকব্রাশ করা। সঙ্গে আরও অনেক নেতাকর্মীই ছিলেন, কিন্তু সকলকে ছাপিয়ে তাঁকে আলাদা করতে কোনই কষ্ট হয় না। সেই প্রথম আমার শেখ মুজিবকে দেখা। অথচ গণকণ্ঠে চাকরি করতে এসে সেই বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধেই আমাকে লিখতে হয়! আমি মর্মযাতনায় ভুগি। কিন্তু তাতে লাভ কী? কেউ তো আর বুঝতে পারবে না, এই লেখাগুলো কর্তৃপক্ষের নির্দেশের ফল। আমার ইচ্ছে-অনিচ্ছে সেখানে গৌণ। চাকরি ছেড়ে দেবো? তা হলে খাবো কী? ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও চাকরি ছাড়তে পারলাম না। যখন চাকরি ছাড়লাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

ভালো হোক, মন্দ হোক, কারও কাছ থেকে কোনও কিছু বারবার চাওয়া ঠিক আমার ধাতে সয় না। সেজন্যে আমার ভাগ্যে চাকরি জোটে না। কিন্তু তখন ‘গণকণ্ঠ’ পত্রিকায় যে-সব রচনা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে লেখা হতো, কোনও সভ্য গণতান্ত্রিক সমাজেও সেটা সম্ভব কিনা, আমার সন্দেহ আছে। সরকার সহ্য করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই সব লেখা যে তৎকালীন সরকারকে বিব্রত এবং জনগণের কাছে বিরূপ করে তুলছিলো, তাতে করে সরকারও কম বিব্রত হননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সমালোচনার ভয়ে সরকার পত্রিকাটি বন্ধ করেননি। কিন্তু আগুনে ঘৃতাহুতি দিল একটি লেখা। গণকণ্ঠে ছোটদের জন্যে একটি পাতা ছিল। সেটি দেখতো আবু করিম (যিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কবিতা লিখে চাকরি হারিয়েছেন) সেখানে একটি গল্প ছাপে। সেটাতেও একেবারে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা হয়। এটা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়নি। আবু করিম স্বতঃ প্রণোদিত হয়ে এই লেখাটি ছাপে। সেখানে দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর মাথা দিয়ে একটি লাউয়ের ডগা লকলকিয়ে উঠছে, কারণ গোবরের মতো সার দিয়ে তাঁর মাথা ভর্তি ছিল। এটা ছাপার পর সরকার গণকণ্ঠ বন্ধ করে দেন এবং আমিসহ আরো অনেকেই বেকার হয়ে যাই।

তখন আমি পত্রিকায় কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়াতে আস্তে আস্তে ওদের উদ্দেশ্যটা একটু একটু করে বুঝতে পারি। ওরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই ফলে যারা এতদিন চুপচাপ ছিল, জাসদের কাঁধে ভর করে তারাও আবার গর্ত থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়। আওয়ামী লীগের কিছু কিছু ভুল সিদ্ধান্তের ফলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে জনগণের মনে। তাকে আরও উস্কে দেয় জাসদ। তারা অনেকটা সস্তা জনপ্রিয়তাও পেয়ে যায়। শুরু হয় ভারত-বিরোধিতা। সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে। এর মধ্যেই মওলানা ভাসানী ফারাক্কা আন্দোলনের ডাক দিলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্মিলিত চক্রান্তে ১৯৭৪ সালের মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষ। গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাট, অন্তর্কলহ ও আন্ডার গ্রাউন্ড দলগুলোর তৎপরতা বঙ্গবন্ধুকে বেশামাল করে ফেলে। দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠনের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘটে সেই ভয়াবহ খুনের ঘটনা। কিছুসংখ্যক বিপথগামী সেনাকর্মকর্তার হাতে নিহত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু কারোরই বুঝতে বাকি থাকে না, বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে শুধু কয়েকজন বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাই জড়িত নন, এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর ষড়যন্ত্র, নেপথ্যের কুশীলবরা রয়ে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমেরিকা এবং আইএসআই এবং মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশের যোগসাজসে স্বাধীনতা বিরোধীরাই যে এ-ঘটনা ঘটিয়েছে, তা মানুষের কাছে তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়।

এ ঘটনা সবার জানা। কিন্তু এর ফলে ব্যক্তিগতভাবে আমার যে ক্ষতি হয়ে যায়, তা আজও আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। দেশ জুড়ে অনেকেই ভাবেন, আমি জাসদ রাজনীতির সমর্থক বুদ্ধিজীবী, যার মধ্যে সত্যের বিন্দুমাত্র অবস্থান নেই। আমি কখনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, এখনও নেই, মাঝখানে নিজের অজ্ঞতার জন্যে ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’-এর মতো একটি পত্রিকায় চাকরি করতে গিয়েছিলাম পুরোপুরিই বেঁচে থাকার তাগিদে। এর ফলে আমার সম্পূর্ণ ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়, আমাকে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে যে অবর্ণনীয় কষ্ট করতে হয়, তা একমাত্র আমি এবং আমার দু’এজন শুভানুধ্যায়ী ছাড়া আর কেউ জানে না। সেই ভুলের মাশুল আজও আমাকে দিতে হচ্ছে।

অথচ সরাসরি জাসদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে জড়িত থেকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তার আন্দোলনে উত্তাল থেকেছে, তাদের অনেকেই আজ আওয়ামী লীগের উচ্চপদে সমাসীন আছেন। তাদের বেলায় কই কেউ তো কোনও প্রশ্ন করে না? তারা যে রাজনৈতিক মতবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল, সে-কথা কি কারো মনে আছে? তারা যে একসময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, সে ব্যাপারে কারো মুখে তো কোনও কিছু শুনতে পাই না, তা হলে শুধু আমার বেলায় কেন প্রশ্ন ওঠে? যার কোনও ভিত্তি নেই, শুধু জীবন বাঁচানোর তাগিদে একটি চাকরি করাতে তাকে কেন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বারবার অযাচিত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? অবশ্য এখন এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যাওয়া বৃথা। এর মধ্যে পদ্মা থেকে গঙ্গা পর্যন্ত বহু জল গড়িয়েছে। বদলে গেছে রাজনীতির মানচিত্র। আমরা যারা মুহূর্তেই সমস্ত সত্যকে উল্টে দিতে জানি না, তাদের কপালে আগেও দুর্ভোগ ছিল, এখনও থাকবে। এই নিয়তিকে মেনে নিয়েই আমাদের বাকি জীবন কাটাতে হবে। ভুল একটা হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি আমি করিনি। তারপরও কেন একটি ভুলের দায়ভার আমাকেই সারা জীবন ধরে বহন করতে হবে?

এখন আমার যা বয়স, তাতে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করা সম্ভব নয়। তবু আমি আমার কবিতার মধ্য দিয়ে সেটা করার চেষ্টা করেছি। জানি না, এতে আমার ঋণ শোধ হবে কিনা। তবে এর মধ্য দিয়ে একটা ব্যাপার বুঝেছি, সময় থাকতে নিজের ভেতরটাকে অবলোকন না করতে পারলে পা পিছলে হোঁচট খাবার সম্ভাবনা এতটা বেশি থাকে যে, সেই ক্ষত নিরাময়ের আর কোনও উপায় থাকে না।
লেখক : কবি ও সংযুক্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়