শিরোনাম
◈ সাবেক মন্ত্রীর চার ছেলের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ◈ ১৩০ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার ◈ এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু সোমবার ◈ প্রবীণ রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনোর দাফন সোমবার ◈ লু’র সফরে আগ্রহ নেই বিএনপির, বৈঠকও হবে না ◈ ভারতে মুসলিমদের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারের বিতর্কিত প্রতিবেদন ◈ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে: রিজভী ◈ সরকারি চাকুরির বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে আন্দোলনে গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন ◈ স্মার্ট হলো হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড প্রক্রিয়া ◈ জি এম কাদেরই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০৮:৫১ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ০৮:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাপান দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালিত

ইউসুফ আলী বাচ্চু: জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরোপরাধ বাঙ্গালির উপর মানব ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই ২৫ মার্চ কে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়।

সোমবার দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় কালো ব্যাচ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে। পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেও দোয়া করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও প্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারে নাই। ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙ্গালি বিজয় ছিনিয়ে আনে। আর তাই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূখন্ড, নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা– যা আমাদের গর্বের প্রতীক।

রাষ্ট্রদূত জানান, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করার জন্য, সরকার এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমুহ কাজ করে যাচ্ছে। আর এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণ পরিপূর্ণতা পাবে।

প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙ্গালি জাতি বীরের জাতি, এই জাতি মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনেছি আর বঙ্গবন্ধুকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধশালী ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো– ইনশাল্লাহ।

অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা– কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়