স্বপ্না চক্রবর্তী : ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে তা সে দেশের মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য করেছে এবং এ মামলা মানহানিকর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু এলজুমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আরসিবিসি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তারা কি আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা টাকা না দেওয়ার জন্য করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার এ বিষয়ে যেটা মনে হয়, ফিলিপাইনের আরসিবিসি কর্মকর্তাদের যে আচরণ সেটা আমার কাছে সত্যিকারের আইনি আচরণ বলে মনে হয়নি।
তিনি বলেন, আর মামলাটা করা, আমার মনে হয় তারা তাদের নিজেদের দেশের মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য করেছে। কারণ আরসিবিসিকে ফিলিপাইন সরকার তাদের সিনেটে পর্যন্ত এই হ্যাকিংয়ের কারণে দায়ী করেছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় তারা যদি কোনো মামলা করে থাকে তাহলে সেটা মান হানিকর কিছু নয়।
এ সময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর হোলি আর্টিজান হামলা মামলার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। হলি আর্টিজানের মামলার বিষয়ে আমি জাপানের রাষ্ট্রদূতকে আপডেট দিয়েছি। এই মামলাটা বিচারাধীন, এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসিকিউশন মনে করেছেন এই ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া অপরিহার্য। আমার মনে হয়, আমরা এই বিচারের বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে। বিচার কার্য শেষ করতে কত দিন লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বিচারকার্য চলাকালে সাব জুডিশিয়াল মামলায় অগ্রিম কোনো কথা বলি না।
এসময় উপজেলা পর্যায়ে আদালত গঠনের কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলেও জানান তিনি। তিনি বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ে আদালত গঠন করার কোনো চিন্তা-ভাবনা আপাতত নেই। আগে উপজেলায় আদালত ছিল সাংবাদিকরা এমন প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ উপজেলা পর্যায়ে ১৯৮২ সালে আদালত ছিল। এরপর সেখান থেকে তা তুলে নেওয়া হয়। তবে এখন আর তা প্রতিষ্ঠার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে একটি উপজেলার জন্য ডেজিগনেটেড করা আছে, যিনি ওই উপজলার মামলাগুলো দেখেন। যত দ্রæত সম্ভব মামলাগুলোর কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করেন। আমি সেখানে শুনানির কথা বলছি না, কারণ অনেক মামলা আছে যার কার্যক্রম শুরু হওয়াটাই বড়। তাই উপজেলা পর্যায়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, দুঃসময়ে জাপান সরকার ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। আর এই বন্ধুত্ব যতই দিন যাবে ততই গাঢ় হবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্লান্ট করার জন্য জাপান যে সহযোগিতা করেছে তার জন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানিয়েছি।