শিরোনাম
◈ বৃটেনে বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের সম্পত্তি লেনদেন নিয়ে গার্ডিয়ানের বিস্ফোরক প্রতিবেদন ◈ জামায়াতের সমাবেশে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা ◈ এনসিপির নিবন্ধনে ঘাটতি: ৩ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের সময় দিয়েছে ইসি ◈ ট্রাম্পের ক্ষোভে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মামলা ১০ বিলিয়ন ডলারের ◈ নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণ ও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ ◈ রাজধানীর পল্লবীতে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ ব্রহ্মপুত্রে চীনের দৈত্যাকার বাঁধ: ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগ উপেক্ষা করেই প্রকল্পের উদ্বোধন ◈ জাতীয় মানবাধিকারের নামে সমকামিতার অফিস করতে দিবো না: মামুনুল হক ◈ মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

এইচ এম জামাল: নিরাপত্তা এবং অসামরিক পরমাণু শক্তি উৎপাদনে পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে ভারতে ৬টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র। টানা দু’দিনের বৈঠক শেষে বুধবার ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। আনন্দবাজার পত্রিকা

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে এনার্জি সেক্টেরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে ভারতকে পরমাণু বিদ্যুৎচুল্লিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিক্রি করতে উৎসাহ দিচ্ছিলো আমেরিকার। পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে তাই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির চুক্তি করলো দুই দেশ। ওয়াশিংটনে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখেল এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তামন্ত্রী আন্দ্রিয়া থম্পসন। অবশ্য যৌথ বিবৃতিতে ছ’টি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করার কথা ছাড়া অন্য কিছু বলা হয়নি।

২০০৮ সালে ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই ভারতের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে ঢুকতে চাইছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সালে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কথা প্রথম জানানো হলেও তা আটকে ছিল আইনি জটিলতায়। ভারতের আইন অনুয়ায়ী, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো দুর্ঘটনা হলে তার দায় নিতে হবে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র যে কোম্পানি বানাচ্ছে, তাদেরই। অন্য দিকে আমেরিকার দাবি ছিল, দুর্ঘটনার দায় নিতে হবে যারা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তদারকি করবে তাদের। যদিও এই জটিলতার কী সমাধান হয়েছে তা খোলসা করা হয়নি এখন পর্যন্ত।

এদিকে ভারত পরমাণু বিদ্যুতের পথে হাঁটলেও অধিকাংশ উন্নত দেশগুলি পরমাণু বিদ্যুতের পরিমাণ কমানোর পথে হাঁটছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের দাবি, পরমাণু বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সভ্যতার জন্য ক্ষতিকারক। পাশাপাশি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে কোনো দুর্ঘটনা ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা সামলানোর পরিকাঠামো বা প্রযুক্তি মানুষের হাতে নেই বলেও দাবি বিজ্ঞানীদের একাংশের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়