সাজিয়া আক্তার : গেলো পাঁচ বছরেও বগুড়ায় সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে গুজব সংক্রান্ত ৫৬টি মামলার কোনোটিরই বিচার কাজ শেষ হয়নি। কেবল চার্জশিটেই আটকে আছে মামলার কার্যক্রম। সরকারি কৌসুলী জানান বিচার স্বল্পতায় বিচারের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। সময় টিভি
পাঁচ বছর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে মৃত্যুদন্ড ঘোষণার পর ৩ মার্চ ভোরে বগুড়ায় বিভিন্ন মসজিদে সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হয়। এরপর তাকে রক্ষার ঘোষণা দিয়ে জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা বিভিন্ন জেলার ১২টি উপজেলায় একযোগে তাণ্ডব চালায়। রাস্তায় গাছ ফেলে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে।
নন্দীগ্রাম, ধুনট, বগুড়া সদর, শাহজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর কাহালু উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলার পাশাপাশি ৬টি পুলিশফাড়ি, অফিস আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় তারা।
উত্তরবঙ্গের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ করে কারাবন্দী মাওলানা সাঈদীকে মুক্ত করার ষড়যন্ত্র মার্চের ৩ তারিখে।
বগুড়ার সাবেক পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় তাদের মোকাবেলা করে তাদের শহর থেকে বের করে দেই এবং পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা করা হয়। মামলা গুলোর চার্জশিট হয়েছে, এখন সাক্ষীর পর্যায়ে আছে।
বগুড়ার জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল মতিন বলেন, বিচারকের অভাবে মামলা ধীর গতিতে চলছে। এই মামলায় একটু বেশি জট। তবে আমি আশা করছি, এই মামলাগুলো খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি করতে পারবো।
সাঈদীকে চাঁদে দেখা সংক্রান্ত নাশকতা মামলা হয়েছিলো ৫৬টি। এর মধ্যে ৫২টি মামলায় ৩ হাজার ২৪৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছিলো ২০১৬ সালে।