শিরোনাম
◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত ◈ রোববার থেকে আবার গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের ◈ সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: ডেপুটি গভর্নর ◈ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি ◈ দেশের জিডিপির পূর্বাভাস কমালো জাতিসংঘ, চিন্তা মূল্যস্ফীতি নিয়ে

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৪৮ সকাল
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০১৯, ০৪:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সত্যিকারের বিপদে নিজের শিষ্য কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি থেকে বাঁচাতেনা পারার কলঙ্ক আজীবন সিরাজুল আলম খানকে বহন করে যেতে হবে

আনোয়ার কবীর

যেহেতু কর্নেল তাহেরকে নিয়ে লিখেছি সেহেতু জাসদের অনেকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ ঘটেছে। তারাও অনেকে আপন লোক মনে করে অনেক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও করেন। আশ্চর্য হই সিরাজুল আলম খানের অনেক শিষ্যের সাথে কথা বলে। তাদের ভাব এবং মতামত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামÑ সিরাজুল আলমের কাছে দুধভাত। কিন্তু সিরাজুল আলম খানের সাথে কথা বলে অবাক হয়েছি, তিনি কখনো বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুলদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শিষ্যদের মতো পাগল হন না। নিজের অবস্থানটি ভালো বোঝেন। আর তাই তার শিষ্যরা যখন তাকে নিয়ে বই লেখে, সেগুলো নিয়ে কোনো আগ্রহ পাই না। কারণ জানি নতুন কোনো মিথ বা নিজেদের মধ্যে প্রচারিত কোনো অতি কথন গল্পই লিখবেন। যার কোনো ঐতিহাসিক বাস্তবতা বা সত্যতা নেই। সিরাজুল আলম খানও হয়তো মনে মনে মুচকি হেসে আনন্দ  উপভোগ করেন। শিষ্যদের কাজ ও গল্প নিয়ে তাই চুপচাপ থাকেন। সেগুলো যে গার্বেজ, ইতিহাসের ধারেকাছেরও বিষয় নয় নিজে ভালোভাবে জানেন বলে চুপ থেকে উপভোগ করেন। কারণ শিষ্যদের অতি কথন, অতি মানবীয়, হিমালয়ের মতো উচ্চতার বিষয় নিয়ে কথা বললে যে নিজের ক্ষুদ্রতাগুলো প্রকাশ হয়ে যাবে সেটি তার থেকে আর ভালো কে জানে! তবে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি ও সে মামলায় তার ভূমিকা সকল সময়ে গবেষকদের কাছে গোপন থেকে গেলো। পুরো পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুলদের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করে বড় রকমের কোনো মামলা বা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে। মূল নেতা হিসেবে জীবনের প্রথম বড় ঘটনায় ফাঁসি হয়ে গেলো কর্নেল তাহেরের। হয়তো নিজে উপলব্ধি করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে কতো অসহায় তিনি। সবাই তো আর বঙ্গবন্ধু নন। আর তাই হয়তো রাজনীতি থেকে পুরোপুরি এক ধরনের স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চেয়েছেন। সত্যিকারের বিপদে নিজের শিষ্য কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি থেকে বাঁচাতে না পারার কলঙ্ক আজীবন সিরাজুল আলম খানকে বহন করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল তার শিষ্য কাউকে এভাবে ফাঁসিতে ঠেলে দিয়ে নিজে কখনো বেঁচে থাকতেন না, বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের ইতিহাস তা বলে। সিরাজুল আলম খান এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ব্যর্থ শিষ্য রয়ে গেলেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়