জুয়েল খান : প্রাথমিক শিক্ষার মানবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভালো মানের মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ভালো শিক্ষক ছাড়া কোনোভাবেই প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য চাপ দিতে গিয়ে তাদের জ্ঞান অর্জনের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। ফলে পরীক্ষার কারিকুলামের বাইরের বিষয় পড়ার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে তারা, এমনটাই জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাটার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থী মিলে জিপিএ-৫ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফলে সামগ্রিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের প্রবণতা কমে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এতো বেশি পরীক্ষানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে উন্নত কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তবে পরীক্ষানির্ভরতা কমাতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে গেলে তাদের ভালো বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকের সামাজিকভাবে মর্যাদা দিতে হবে, আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা অনেক বেশি ছিলো কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থান নেই। তাই মেধাবীরা প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য আগ্রহ হারাচ্ছে। বর্তমানে মেধাবীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার দিকে সর্বোচ্চ আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক করতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে যাতে মেধাবীরা এদিকে আসতে আগ্রহী হয়। সর্বোপরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশগত উন্নয়ন করতে হবে।