শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সোলার প্যানেল ভিত্তিক সেচ পাম্পের সুবিধা পাচ্ছে না বরগুনার কৃষকেরা

নুর নাহার : বরগুনায় পাথরঘাটার মানিকখালি গ্রামে দুই বছরেও শুরু করা হয়নি সোলার প্যানেল ভিত্তিক কৃষি সেচ পাম্প। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বলছে, পাম্পের দায়িত্বে থাকা স্কিম ম্যানেজারের উদাসীনতায় চালু হয়নি পাম্পটি। এতে বিনামূল্যে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ কৃষকেরা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কীম ম্যানেজার। নানান অযুহাত দেখান তিনি। তাই প্রশাসন খুব তাড়াতাড়ি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়ার কথা জানিয়েছে। চ্যানেল ২৪।

মানিকখালি গ্রামের এই সোলার প্যানেল সিস্টেমে শক্তিশালী সেচ পাম্প বসায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। খরচ হয় তেইশ লক্ষ টাকা। উদ্দেশ্য ছিলো ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প বা ভর্তুকি কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সেচের পানি পাবে কৃষকেরা। কিন্তু দুই বছরেও এই সুবিধা পায়নি কৃষক। এক দিনের জন্যও সেচ পাম্পটি চালু করেননি স্কিম ম্যানেজার, স্থানীয় ইউপি সদস্য হেমায়েত উদ্দিন অপু। পরিশোধ করেননি বিএডিসির বার্ষিক ভাড়াও।

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, আমরা উপকৃত হওয়ার জন্যই সরকারের কাছে সেচ পাম্প চেয়েছি। যাতে করে আমরা ইরি, আলু, সবজি সময় মতো আবাদ করতে পারি। আমরা যেনো কৃষি উন্নয়ন করতে পারি।

তারা আরো বলেন, আমরা সেচ পাম্প ঠিকই পেয়েছি কিন্তু এখনো পানি পাইনি। এখনো কালভার্ট হয়নি তাই আমরা এর থেকে কোনো উপকার পাইনি।

কিন্তু এসব অভিযোগ মানতে রাজি হননি স্কিম ম্যানেজার অপু। উল্টো দোষ চাপিয়ে দেন বিএডিসির ওপর। হেমায়েত উদ্দীন অপু বলেন, ইরি চাষের জন্য যে সময় পানি প্রয়োজন, সে সময় নদী থেকে খালে লবণ পানি ঢোকে। বিএডিসি এর সাথে কথা ছিলো এ খালে একটি কালভার্ট তৈরি করে দেবে, যাতে মিষ্টি পানি আটকে রাখা যায়। আমরা সেই পানিটা কাজে লাগাবো।

এই সমস্যা সমাধান করতে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে চায় কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন পাম্পটি পরিচালনার জন্য। সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ), বিএডিসি, প্রিন্স কুমার মল্লিক বলেন, যেটা আমাদের প্রজেক্টে নাই সেটা আমরা দিতে পারবো না আর এমন কথাও আমরা তাদেরকে দেইনি। আর তারা যে খাল কাটার কথা বলছেন, সেটি তিন বছর আগে পুনঃখনন করা। এমন নয় যে আমরা সময় দেইনি। তারা দায় সারার জন্য এমন কথা বলছেন।

সেচ পাম্পটি চালু হলে বিনামূল্যে সেচের পানি যাবে কৃষকের দু হাজার একর জমিতে। উপকৃত হবেন প্রায় ১০০০ কৃষক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়