শিরোনাম
◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আবারো বিএসএফের ‘পুশ ইন’, ৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি ◈ বি‌সি‌বি ও বি‌সি‌সিআই সর্বসম্ম‌তিক্রমে সি‌রিজ স্থ‌গিত কর‌লো, আগ‌স্টে আস‌ছে না ভারত

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫১ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনোয়ারুল হক বললেন, ভালোবাসা দিবসের বাণিজ্যিকীকরণে হারিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের চেতনা

আমিরুল ইসলাম : আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। ১৯৮৩ সালের এই দিনেই জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। কালক্রমে যেটি গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছেলো। সেই আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল হক বলেছেন, তরুণ সমাজ ভালোবাসার বাণিজ্যিকীকরণের দিকে না ঝুঁকে দেশকে ভালোবেসে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করবে এমন স্বপ্নই দেখি।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের দেশ। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় মুকুটে আরেকটা পালক সংযোজিত হয়েছিলো। ১৪ ফেব্রুয়ারির পথ ধরেই আমাদের দেশের ছাত্র সমাজ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত করে। ঐদিন সামরিক শাসনের এক বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে একটা ছাত্র আন্দোলন যে গড়ে ওঠে সেটা প্রমাণ করে আমাদের দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার একটা অন্তর্নিহিত তাগিদ বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের মধ্যে সব সময়ই বিরাজমান। তবে সেদিন আমরা যে ধারাটা শুরু করেছিলাম সে পথ আজও ফুরায়নি। গণতন্ত্রতো প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি বরং আজকে গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ মারাত্মকভাবে সংকুচিত। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছে। অথচ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে করতে দেশটিই স্বাধীন করে ফেললো যেদেশের মানুষ। সেদেশে গণতন্ত্রের নামে, ভোটের নামে তামাশা হবে এটা বড়ই বেদনাদায়ক। আজকে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র যদি হাত ধরাধরি করে না আগায়, উন্নয়ন যদি গণতন্ত্রের হাত ছেড়ে দেয় সে উন্নয়ন হবে বিকৃত উন্নয়ন। তার ফল ভোগ করবে লুটেরারা, দেশের মানুষ না। তাই উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র হাতে হাত ধরে আগাতে হবে। সেদিক থেকে এক অচলায়তনের সৃষ্টি হয়েছে আমাদের দেশে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষা নিয়ে সে অচলায়তন ভাঙার লড়াইয়ে আমাদের দেশের ছাত্র-তরুণরা এগিয়ে আসবে এটাই আশা করি, কামনা করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির আকাক্সক্ষা ছিলো শিক্ষার অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার। সে অধিকারের জন্য যদি আজকের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে আসে। দলমত নির্বিশেষে যদি আমাদের দেশটাকে আবার একটা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও পদ্ধতির মধ্যে আনা যায় তাহলে ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদবিরোধী আন্দোলনের স্বপ্ন পূরণ হবে। আজকে বাণিজ্যিকীকরণের যুগে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসের যে বাণিজ্য চলছে, এটার মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে জব্দ করার চেষ্টা আছে। আসলেতো শিক্ষার জন্য লড়াই, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই এগুলো একত্রে দেশকে ভালোবাসার লড়াই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়