শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০১:৫৮ রাত
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১এর সত্ত্ব কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয়া হয়নি, সংসদে জানালেন মোস্তাফা জব্বার

আসাদুজ্জামান সম্রাট : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সত্ত্ব কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি, এটি দেশের জনগণের সম্পত্তি। সেকারনে স্যাটেলাইটের সত্ত¡ নিয়ে যেসব কোম্পানী বা ব্যক্তি বর্গের নামে লিজ দেয়ার তথ্য খবরের কাগজ বা গণমাধ্যমে আসে তা সত্য নয় বলে জানান ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তোর কালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন- ‘বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর বের হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সত্ত¡ শুধু মাত্র বেক্সিমকো ও অন্য একটি কোম্পনীর কাছে বিক্রি করা আছে। কেউ যদি এ স্যাটেলাইটের সুবিধা নিতে চান তা হলে এ দুটি কোম্পানীর কাছ থেকে কিনতে হবে” এটি সত্যি কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এটি জাতীয় সম্পত্তি কারো কাছে লিজ বা সত্ত¡ বিক্রি করা হয়নি। এটা সত্যি নয়।

ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৫২৯৫ টি ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এ সকল সেন্টারে প্রায় ১০ হাজারে বেশী উদ্যোক্তা কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে গ্রামে গঞ্জে ২০ হাজার ডিজিটাল সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পণা রয়েছে বলে জানান তিনি।

এসকল ডিজিটাল সেন্টারে সকলের জন্য একটি ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একউন্ট খোলা, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান ও আমানত গ্রহণ, বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ, পাশপোর্ট বিল গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নানাবিধ সেবা দেয়া হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপণ করা হবে। এসকল ল্যাবে শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয় স্কুল ছুটির পরে অন্যদেরও এ ল্যাবে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ নিজে মোবাইল ও ল্যাবটপ বানাচ্ছে ও রপ্তানী করছে। ইতিমধ্যে উন্নত মানের মোবাইল ফোন উৎপাদনের জন্য ৬টি কারখানা চালু হয়েছে। আরো ৬টি অবিলস্বে চালু করা হচ্ছে। এখন আর মোবাইল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হবেনা। আমরা এদেশে কম্পিউটারের মাদার বোর্ড উৎপাদনের চেষ্ঠা করছি। তেমনি আমরা ল্যাবটপ তৈরির করার জন্য আমরা কারখানা চালু করছি। সেখানে মাদার বোর্ড তৈরি হবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসা করে বলেন, সরকার ১৯৯৮-৯৯ সালের বাজেটে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানী শুল্ক/ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেব প্রধানমন্ত্রীকে জানান এর ফলে ২১০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী তা না শুনে এর উপর শুল্ক/ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেন। যদি শিক্ষামন্ত্রী আরো একটু ভর্তূকি দেন তাহলে আমরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দাম আরো কমাতে পারবো। আর এর ফলে দরিদ্র ছাত্র ছাত্রীদের হাতে এটি পৌছে দেয়া সম্ভব হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, এছাড়া হাইটেক পার্কে অনেক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কেউ যদি এখানে কিছু স্থাপণ করেন তাহলে তার ১০ বছরের রেয়াত দেয়া হয় এবং উৎপাদিত পণ্যের উপর ১০ শতাংশ ভর্তূকি দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়