জাবের হোসেন: গত দশ বছরে যতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই বেশি দামের তেল বিদ্যুৎ । এবার ডিজেল এবং ফার্নেস ওয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে না সরকার। এখন পর্যন্ত ছোট ছাট ১০৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। যেগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে বেশি দামের ডিজেল ও ফার্নেস তেল পুড়িয়ে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট। গ্যাসে যেখানে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪টাকা প্রতি ইউনিটের দাম হলেও তেলে গড়ে দাম ১৩ টাকার মতো। যদিও এই উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন আর বাড়াতে চায় না সরকার। সেক্ষেত্রে তাদের চোখ এখন কয়লা বিদ্যুতে। চ্যানেল ২৪
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, কয়লাভিত্তিক বড়ো কেন্দ্রগুলো যেন সময় মেনে উৎপাদনে আসতে পারে সেদিকেই এখন আমাদের নজর। তিনি বলেন, এই বছরের মধ্যে অন্তত একটি কয়লাভিত্তিক বড়ো বিদ্যুতে কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এরই মধ্যে আমাদের পায়রা প্রজেক্ট ৫৭ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। মাথারবাড়ি প্রজেক্টও দ্রুততার সাথে চলছে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলছে, কয়লাভিত্তিক মেগা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসলে প্রয়োজন পড়বে না তরল জ্বালানির বিদ্যুতের । বিদ্যুৎ নিয়ে চাহিদার সাথে তাল মেলানোর বিষয়টি মোকাবেলা করতে হয় পিডিবির। এ বছর সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। সেখানে উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২২ হাজার মেগাওয়াট।
পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ মনে করে, চাহিদা পূরণ হওয়ায় এখন তেল থেকে বেরিয়ে আসবেন তারা।
তিনি বলেন, নতুন কোন পরিকল্পনা নেই, যে পরিকল্পিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো আছে তা থেকে আমরা বিদ্যুৎ দিতে পারবো। এবং পর্যায়ক্রমে তেল ভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে কমিয়ে আনা হবে। তেলেরগুলো এখন আমরা আর করছিও না।
২০১০-১১ সালে প্রথমে দুই বছর মেয়াদে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয় সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ আইনের আলোকে এইসব কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২১ পর্যন্ত। ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ১৩শ ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও।
আপনার মতামত লিখুন :