জুয়েল খান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ জিনিস দেখে সমাজের মধ্যে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে ধর্ষণের প্রবণতা বেড়ে গেছে। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারকে অপব্যবহার করছি।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সমাজে যারা রক্ষক তারা যদি ভক্ষকের ভূমিকায় যায় তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্দশার সীমা থাকে না, মানিকগঞ্জে এক নারীকে যখন দুই পুলিশ কর্মকর্তা আটকে রেখে ধর্ষণ করে তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে ? আমাদের সমাজের মানুষের নৈতিকতার জায়গাটা এতো বেশি স্খলন হয়েছে যে আমাদের কাছে নারী নিরাপদ নয়।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের যারা প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। যখন কেউ রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্বে নিয়োগ পান তখন তাকে অবশ্যই একটা শর্ত দিতে হবে যে, তিনি কোনো ধরনের নারী নির্যাতনের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না। তাকে যদি এই ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, এই শর্ত দেয়া থাকলে তিনি হয়তো কিছুটা হলেও ভয় পাবেন। এটা তাদের চাকরির শর্ত হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। তিনি জানান, প্রফেশনাল বডিতে এক ধরনের ট্রেনিং কিংবা ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করা উচিত যেখানে নারীর প্রতি কী ধরনের আচরণ করতে হবে। বিশেষ করে প্রশাসনের কর্মর্তারা যখন টহলরত অবস্থায় থাকেন তখন নারীর সাথে তারা কী ধরনের আচরণ করনে।
আপনার মতামত লিখুন :