শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ব্যস্ততা আর বিরোধী শিবিরে নীরবতা, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতেই অংশগ্রহণ প্রশ্নের মীমাংসা হবে

শাহানুজ্জামান টিটু : উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের তোড়জোড় দেখা মিললেও, একেবারই উল্টো চিত্র সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে। নীরব-নিথর। নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ নেই তাদের।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচনে আমরা জিতবো না, মধ্যখানে নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। নানাভাবে হয়রানি, নির্যাতন নিপীড়ন করা হবে। এটা আমরা কিভাবে নেবো, এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারপরও যেসব জায়গায় আমাদের প্রার্থী বা চেয়ারম্যান আছেন, দলের স্থানীয় কমিটি রয়েছে, তাদের সবার সঙ্গেই আলোচনা করছি। তাদের মতামতে ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ হবে। যদিও এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দেন, বিএনপি সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া প্রসঙ্গে দুটি কারণ উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। ভোট তো হয় না, ভোট হলে তো অংশ নেয়া। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখে হয়ে যায়। এই রকম পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাওয়ার মানে হলো, জনগণের সমর্থন থাকলেও আপনি জিতবেন না। নির্বাচনে যারা সামনে আসে, মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া, জেলে নেয়া হয়, তাদের বাড়ি ঘর লুটপাট করা হয়। আমরা কর্মীদের সেখানে ঠেলে দেবো কিনা এটাই এখন সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এগুলো নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জটিলতা কোথায় আপনারও বুঝতে পারছেন। এর আগে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, তবে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু এবার ৩০ তারিখের নির্বাচন ঘিরে যে ঘটনাটা ঘটলো। এরপর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছে। জোর করে ভোট কেটে নিয়ে যায়, জনগণ ভোট দিতে পারে না। জনগণ যদি ভোট দিতে না পারে, তাহলে আমাদের জেতার তো কোনো সম্ভাবনা নাই। সরকারি দলকে জনগণ ভোট না দিলেও তারা জিতে যায়। কিন্তু জনগণ ভোট না দিতে পারলে আমরা জিতবো না।

২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করে। তখন ওই ভোট দলীয় প্রতীকে হয়নি। দলের সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে জোটের ১৭৬ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে প্রায় ৩০০ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথম দুই ধাপে বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তী তিন ধাপে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যায়। শেষ তিন ধাপে ক্ষমতাসীনেরা কারচুপি করে জিতেছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়