মারুফুল আলম : ইন্দোনেশিয়ায় সন্দেহভাজন এক চোরকে আটকের পর তার গায়ে সাপ জড়িয়ে দেবার ঘটনা জানাজানি হবার পর এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তির গায়ে সাপ পেঁচিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে হৈ চৈ শুরু হয়। বিবিসি বাংলা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাপুয়া অঞ্চলে পুলিশের একজন কর্মকর্তা এক ব্যক্তির গায়ে একটি সাপ জড়িয়ে দিচ্ছেন, আর হাতকড়া পরা লোকটি ভয়ে চিৎকার করছে। ওই লোকটি একটি মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিলো।
স্থানীয় পুলিশবাহিনীর প্রধান জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাপ ব্যবহারের কৌশলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, সাপটি ছিলো পোষা এবং নির্বিষ। তবে এই ঘটনাকে তিনি অপেশাদার বলে মন্তব্য করেছেন।
টন্নি আনন্দা সদায়া এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে তার দাবি, পুলিশ ওই ব্যক্তিটিকে মারধর করেনি। স্বীকারোক্তি আদায়ের লক্ষ্যে তারা শুধু তাদের নিজেদের উদ্ভাবিত এক কৌশল কাজে লাগিয়েছেন।
ভিডিওটি টুইট করেছেন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ভেরোনিকা কোমন। তিনি দাবি করেছেন, সম্প্রতি পুলিশ পাপুয়ার স্বাধীনতাপন্থী এক আন্দোলনকারীকে আটক করার পর তাকে সাপসহ একটি সেলের ভেতরে রেখেছিলো।
ভিডিওতে একটি কণ্ঠ সন্দেহভাজন ওই চোরকে নানাভাবে ভয় দেখাতে শোনা যায়। কখনও বলা হচ্ছিলো যে, তার মুখে বা প্যান্টের ভেতরে সাপ ঢুকিয়ে দেয়া হবে ।
মানবাধিকার কর্মিরা এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ এ ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ভিডিও লিংক:
আপনার মতামত লিখুন :