শিরোনাম
◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা  মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে আছে : ওবায়দুল কাদের  ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ◈ ১৩ হাজার ৫০০ জন হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছেছেন  ◈ জাবালিয়ায় ইসরায়েলি ট্যাংক, রাফা থেকে পালিয়েছে ৩ লাখ মানুষ ◈ সাবেক মন্ত্রীর চার ছেলের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ◈ এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন শুরু সোমবার ◈ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে: রিজভী ◈ সরকারি চাকুরির বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে আন্দোলনে গ্রেপ্তার ১২ শিক্ষার্থীর জামিন ◈ স্মার্ট হলো হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড প্রক্রিয়া ◈ জি এম কাদেরই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৮ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৮:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটিও ফুল নেই সাগর-রুনির কবরে

ইমরান মিয়া : ‘সকাল থেকে কাউকে দেখি নাই। দুই তিন বছর আগেও সাতসকালে দুইটা কবরই ফুলে ফুলে ভরে যেত। টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদিকরা আসত। ভিডিও করত, ছবি তুলত। কবর জিয়ারত, মোনাজাত ও দোয়া হইত। কই, আজ তো সকাল থাইক্যা কাউরেই দেখলাম না।’

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানের ভেতর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির কবরের অদূরে কর্মরত কবরস্থানের দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেন ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন। জাগো নিউজ

সাংবাদিক পরিচয় শুনে জাহাঙ্গীর বললেন, ‘স্যার, সাগর-রুনি মার্ডারের তো কয়েক বছর (সাত বছর) হইল, এত দিনেও কি পুলিশ জানতে পারল না কে মার্ডার দুইটা করল? আপনারা সাংবাদিকরাও তো কিছুই করতে পারলেন না।’

তার কথা শুনে এ প্রতিবেদক সাগর-রুনির কবর দুটির দিকে তাকাতেই দেখতে পান শ্বেত পাথরের কবর দুটির ওপরে একটি ফুলও নেই। তবে কবর দুটি সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা। মেহেরুন রুনির কবরের ঠিক শিয়ড়ের পাশে একটি ছোট্ট গাছে সাদা ফুল ফুটে আছে। সাগরের কবরের পাশের গাছটির পাতা ঝরে বিবর্ণ হয়ে আছে।

আজ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সপ্তম বার্ষিকী। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। খুন হওয়ার পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছিলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে। কিন্তু সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও রহস্য উন্মোচন হয়নি।

জানা গেছে, প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬২টি ধার্য তারিখ পার হয়েছে।

মামলায় আটজনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মিন্টু, কামরুল হাসান, বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম আবু সাঈদ ও এনাম আহম্মেদ কারাগারে রয়েছেন। পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।

মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, মামলাটির তদন্তের কোনো অগ্রগতিই নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো কিছুই জানান না। মামলার তদন্ত নিয়ে আমরা হতাশ।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়