আসাদুজ্জামান সম্রাট : ৩০ বছর ধরে জমে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রোববার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান। আনিসুল হক বলেন, আদালতের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে যাতে পুরনো মামলাগুলো, দেওয়ানি মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। পুরনো মামলা যেগুলো গত ৩০ বছর জমেছিলো সেই মামলাগুলো যাতে আগে শেষ করা যায় সেজন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু পুরনো নয় এখন যেগুলো হচ্ছে সেই মামলাগুলোও যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেজন্যই এ উদ্যোগ।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘস‚ত্রিতা কমিয়ে বিচারকাজ তরান্বিত করার লক্ষ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এজলাস সংকট নিরসনে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যও এসেছে। বিচারকাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনকে গতিশীল করা হয়েছে, যাতে শ‚ন্যপদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায়। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত নিম্নআদালতে মোট ৫৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশে আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এই ট্রাইব্যুনালগুলোর জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন সৃষ্টি করা এ পদগুলোতে বিচারকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :