নূর মাজিদ : ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এখনো আরব দেশগুলো ভুগছে। বিশেষ করে, ওই সময় থেকেই আরব দেশগুলোর সরকারি দেনার পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষত, উচ্চাভিলাষী বাজেট এবং তার কারণে সৃষ্ট বাজেট ঘাটতি এই দেনা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে। গত শনিবার আরব দেশগুলোর চতুর্থ বাৎসরিক অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নিয়ে এভাবেই দেশগুলোর সরকারি দেনাবৃদ্ধি নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ প্রধান ক্রিশ্চিয়ান লাগার্দে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই নগরীতে এই ফোরাম চলছে। ইকোনমিক টাইমস
ক্রিশ্চিয়ান লাগার্দে বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই অঞ্চলের অনেক দেশের অর্থনীতি ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। একইসময় এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও নানা কারণে বিঘিœত হয়েছে। তেল রপ্তানিকারক আরব দেশগুলোর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে তবে এখনও তা মন্দা পূর্ববর্তী অবস্থার চাইতে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, তেল রপ্তানিকারক আরব দেশগুলোর সরকারি দেনা তাদের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৬৪ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এমনকি তেল রপ্তানিকারক আরব দেশগুলোর অর্ধেকেরই মোট সরকারি দেনার পরিমাণ তাদের জিডিপির ৯০ শতাংশ। যা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে, ছয় সদস্য দেশবিশিষ্ট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর সরকারি দেনা তাদের জিডিপির ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়েছে।
আইএমএফ প্রধান বলেন, এখনো এই দেশগুলোর জন্য অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার শঙ্কা রয়েছে। মাঝারি গতির প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও আরব দেশগুলোর জন্য তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্ভাবনা রয়েছে।