রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রে অফিস ছাড়াও অফিসেব বাইরে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানোর জন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক অ্যাপের সহযোগিতা নেয়া হবে। বিশ্রাম বা ছুটির সময়ও এ নজরদারির হাত থেকে কোনো কর্মী কোনো অবস্থায় রেহাই পাবেন না। ২৪/৭ বা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সাতদিনই কঠোর এ নজরদারির আওতায় থাকবেন তারা। এজন্যে বিশেষ ধরনের অ্যাপ তৈরির জন্যে নিউ ইয়র্কভিত্তিক একটি সংস্থাকে ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার বরাদ্দ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। স্মার্টফোনভিত্তিক এ সফটওয়্যার সব সময়ই ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি চালাবে।
পাশাপাশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কখন কি করছেন তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করে অব্যাহতভাবে সে শিক্ষাও গ্রহণ করবে এ অ্যাপ। ব্যবহারকারীকে এই অ্যাপ এতোই ভালো করে চিনতে সক্ষম হবে যে তার বদলে অন্য কেউ যদি স্মার্টফোন হাতিয়ে নেন বা ব্যবহার করেন তাও ধরতে পারবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ অ্যাপ।
এ জন্য প্রতি ব্যক্তির আচরণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিটি মানুষ একে অন্য থেকে পৃথক বৈশিষ্টের হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপসহ কিছু শারীরিক এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে অ্যাপের ক্ষেত্রে এ সবকে কাজে লাগানো হবে। অ্যাপটি কেবল নজরদারিই চালাবে না বরং কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্র বৈপ্লবিক পরিবর্তনও আনবে। পেন্টাগনসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার ব্যবহারের বেলায় বর্তমানে ক্ষেত্র বিশেষ পাসওয়ার্ড এবং অ্যাক্সেস কার্ড ব্যবহারের আবশ্যকতা রয়েছে। এ অ্যাপ চালু হওয়ার পর এ সব ব্যবস্থার কোনো প্রয়োজনই আর পড়বে না। কাজেই এ সব ব্যবস্থাও তখন উঠিয়ে দেয়া হবে।
ফোনেই তখন কর্মীকে শনাক্ত করার একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠবে। বলা হচ্ছে, তখন একজন কর্মীর পাসওয়ার্ড হবেন কেবল কর্মী নিজেই। অর্থাৎ আপনিই হবেন আপনার পাসওয়ার্ড । স্পুটনিক