যুগান্তর : দেশের ৩২৭টি পৌরসভার মধ্যে ২৬৭টিতেই বিরাজ করছে এক রকম অচলাবস্থা। মাসের পর মাস বকেয়া থাকছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর ভাতা। এমনকি কোনো কোনো পৌরসভায় বকেয়া পড়ছে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানীও। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতি। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এসব পৌর এলাকার প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের নাগরিক সেবা। যার মধ্যে রয়েছে সুপেয় পানি সরবরাহ, ভৌত-অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক আলোকিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ উন্নয়ন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, চিত্তবিনোদন, জনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম।
সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই- এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব পৌরসভার কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বকেয়া জমেছে প্রায় সাড়ে ৬শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভায় সর্বোচ্চ ৬৪ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়েছে। এছাড়া অবসরে যাওয়া ৯৬৪ জনের ভাতার বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ অনুযায়ী পৌরসভাগুলোকে নিজস্ব আয় দিয়ে চলতে হবে। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার পর শুনছি, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি কোষাগার থেকে তাদের বেতন-ভাতা চান। এটা তো সম্ভব নয়। তারপরও আইন-বিধির মধ্য থেকে পৌরসভাগুলো শক্তিশালী করতে যা যা করার আছে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, মহানগরের বাইরের শহর এবং গ্রাম পর্যায়ে টেকসই নাগরিক সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। সেজন্য পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দেশের একাধিক পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় একই সুরে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের মহানগরের বাইরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শহরের টেকসই নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে বর্তমান সরকার। সেই লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করারও ঘোষণা দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর ও অধিদফতরগুলো। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগে পৌরসভাগুলোর বিদ্যমান নাজুকদশা বদলে যাবে বলে আশাবাদী তারা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, যোগ্যতা অর্জন করেনি- এমন অনেক হাটবাজারকে পৌরসভা করা হয়েছে। এ কারণে বিদ্যমান সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এটার সমাধান করা কঠিন। পৌরসভার সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। পৌরসভায় বিভিন্ন আকৃতির ট্রাক পাঠানো হয়েছে, কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। ওইসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো দক্ষ জনবলও নেই। অনেক পৌরসভায় ময়লার গাড়ি পাঠিয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনো ময়লা উৎপন্ন হয় না। কারণ সে স্থান প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদ। জনবলের বেতনও দিতে পারছে না এসব পৌরসভা। এটা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলাফল। এখন যেভাবে এসব পরিচালিত হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে; এসব ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বরাবরই উদাসীন। এ কারণে পৌরসভাগুলোর দুরবস্থার মধ্যেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। বড় বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরকে। সেই তুলনায় স্থানীয় সরকারের পাঁচটি স্তরের বরাদ্দের হার অনেক কম। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে চিন্তাভাবনা করে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সরকার পৌরসভাগুলোর সমস্যার সমাধান না করতে পারলে, প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করে, সেগুলোকে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ফিরিয়ে নেয়া যেতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জনবল কাঠামো অনুযায়ী, দেশে চার ক্যাটাগরির পৌরসভা রয়েছে। সেগুলো হল- ক-১, ক-২, খ ও গ ক্যাটাগরি। ক-১ ক্যাটাগরির পৌরসভার সংখ্যা ৬২, ক-২ ক্যাটাগরির পৌরসভার সংখ্যা ১১৫টি, খ-ক্যাটারগরির পৌরসভার সংখ্যা ৫০টি, গ-ক্যাটাগরির পৌরসভার সংখ্যা ১০০টি। দেশের পৌরসভাগুলোর জনপ্রতিনিধি সম্মানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বছরে প্রয়োজন প্রায় ১ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। আর পৌরসভাগুলোর সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় হচ্ছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে পৌরসভায় অনুন্নয় খাতে বছরে একটি বরাদ্দ দেয়, যেটা বেতন-ভাতার ১ ভাগেরও কম। আর পৌরসভার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু উন্নয়ন বরাদ্দ দেয় সরকার। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে পৌরসভাগুলোর রাজস্ব আয় দিয়ে বেতন-ভাতা, সম্মানী পরিশোধ না করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন জনপ্রতিনিধিরা। এতে দিন যতই যাচ্ছে, বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ।
আরও জানা গেছে, দেশের ৩২৬টি পৌরসভায় ৩২৬ জন মেয়র ও ১টি পৌরসভায় (নবগঠিত তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ) প্রশাসক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এসব পৌরসভায় মোট কাউন্সিলর রয়েছেন ৪ হাজার ৪৪ জন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩ হাজার ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রয়েছে ১ হাজার ১১ জন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ১৩৯ জন। এর মধ্যে স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১২ হাজার ৬৯৫ জন। জনবল কাঠামো অনুযায়ী পৌরসভাগুলোতে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পদ রয়েছে ৪৪ হাজার। সুষ্ঠুভাবে পৌরসংস্থাগুলো পরিচালনা করতে এসব জনবল নিয়োগ করা দরকার। এসব জনবল নিয়োগ করা হলে সরকারি বেতন-কাঠামো অনুযায়ী বেতন-ভাতার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। সে অবস্থায় পৌরসভাগুলোর অবস্থা আরও নাজুক হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
তাদের আরও অভিমত- পৌরসভার মেয়ররা স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চেয়ে চুক্তিভিত্তিক জনবল দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। কেননা একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর যে বেতন, সেই বেতন দিয়ে চুক্তিভিত্তিক ৩-৪ জন লোক পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় চুক্তিভিত্তিক জনবলের বেতন হলেও স্থায়ীদের বেতন হচ্ছে না। পাশাপাশি কোনো কোনো পৌরসভায় স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কারও বেতন হচ্ছে না। সূত্র জানায়, দেশের পৌরসভাগুলোর বিদ্যমান বেহালদশা নিরসনের দাবিতে ২০১৮ সালের ১০-১৪ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটিকে পৌরসভাগুলোর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি সুপারিশ দিতে বলা হয়।
কিন্তু অদ্যাবধি ওই তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মামলার কারণে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। কেননা আদালতের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনোভাবে তদন্ত প্রতিবেদন সাংঘর্ষিক হলে, সেটা মন্ত্রণালয়ের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আ. আলীম মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, গত বছরের মার্চে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সময় এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের অঙ্গীকার করা হয়। এ ঘোষণার পর আন্দোলন থেকে আমরা সরে দাঁড়াই।
কথা অনুযায়ী এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার পৌরসভার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ অবধি সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখল না। এজন্য তদন্ত কমিটির সদস্যদের অবহেলাকে দায়ী করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌরসভা সার্ভিস আসোসিয়েশন থেকে গত বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আলাদা বিষয়ে সরকারকে বাদী করে দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর সেপ্টেম্বরের মামলা চলমান রয়েছে, কিন্তু সেই মামলার সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়টি সাংঘর্ষিক হওয়ার সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয় বললে আমরা মামলা তুলে নেব। আর সরকার যদি পৌরসভার সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ না নেয়, তাহলে আগামী মার্চ থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে।
যেসব পৌরসভায় বকেয়া : বেতন-ভাতা- ভেড়ামারা ১৫ মাস, মিরপুর ১৫ মাস, খোকসা ১৬ মাস, বেনাপোল ৭ মাস, বাঘারপাড়া ৪ মাস, যশোর ১ মাস, ঝিনাইদহ ৬ মাস, হরিণাকুণ্ডু ৬ মাস, শৈলকুপা ১৩ মাস, মহেশপুর ১৬ মাস, কোটচাঁদপুর ৩৪ মাস, কালীগঞ্জ ৩ মাস, নড়াইল ১৫ মাস, কালিয়া ৯ মাস ও জীবননগর ৭ মাস, দর্শনা ১১ মাস, আলমডাঙ্গা ৯ মাস, বাগেরহাট ৪ মাস, গাংনী ১২ মাস, মেহেরপুর ১৭ মাস, মাগুরা ৮ মাস, গৌরনদী ৪ মাস, মুলাদী ১২ মাস, বানারীপাড়া ১ মাস, বাকেরগঞ্জ ৩ মাস, নলছিটি ১৬ মাস, গলাচিপা ১ মাস, পটুয়াখালী ৯ মাস, স্বরূপকাঠি ৩ মাস, মঠবাড়ীয়া ১৮ মাস, পাথরঘাটা ৬ মাস, বরগুনা ৫ মাস, আমতলা ২ মাস, বোরহানউদ্দিন ১ মাস, দৌলতখান ১৭ মাস, ভোলা ১ মাস, চরফ্যাশন ৯ মাস, লালমোহন ২৯, মাসদুপচাচিয়া ১২ মাস, ধুনট ১৫ মাস, কাহালু ৬ মাস, ননদগিরাম ২৪ মাস, সারিয়াকান্দা ৫১ মাস, শরেপুর ২৩ মাস, শীবগঞ্জ ৮ মাস, সান্তাহার ৬৪ মাস, চারঘাট ৫ মাস, ভবানীগঞ্জ ৭ মাস, কশেরহাট ৮ মাস, মুনডুমালা ১০ মাস, আড়ানী ৩ মাস, দুর্গাপুর ৪ মাস, বাঘা ১ মাস, কাটাখালী ৩৪ মাস, তানোর ৭ মাস, তাহেরপুর ৮ মাস, গোদাগাড়ী ১৪ মাস, কাকনহাট ৮ মাস, পুটিয়া ৫ মাস, বনপাড়া ১ মাস, গুরুদাসপুর ১৫ মাস, সিংড়া ৮ মাস, নলডাঙ্গা ৪ মাস, গোলাপপুর ৮ মাস, বড়াইগ্রাম ২ মাস, বাগাতিপাড়া ২৮ মাস, সাঁথিয়া ২৭ মাস, ঈশ্বরদী ৩ মাস, সুজানগর ২৫ মাস, চাটমোহর ৩ মাস, ফরিদপুর ৭ মাস, রায়গঞ্জ ৫ মাস, বলকুচি ২ মাস, শাহজাদপুর ৪ মাস, কাজীপুর ১৫ মাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৭ মাস, রহনপুর ৭ মাস, নাচোল ১ মাস, শীবগঞ্জ ১৮ মাস, ধামোইরহাট ১ মাস, পাঁচবিবি ৯ মাস, কালাই ৬ মাস, আক্কেলপুর ৬ মাস, হারাগাছ ১৯ মাস, পার্বতীপুর ৮ মাস, ঘোড়াঘাট ১৪ মাস, ফুলবাড়ী ২ মাস, বিরামপুর ৩ মাস, হাকিমপুর ২৮ মাস, রানীশংকৈল ১২ মাস, ঠাকুরগাঁও ৩ মাস, পীরগঞ্জ ২৯ মাস, সুন্দরগঞ্জ ১৯ মাস, গোবিন্দগঞ্জ ১৯ মাস, গাইবান্ধা ৩ মাস, পঞ্চগড় ৪ মাস, ডামোর ৩ মাস, নাগেশ্বরী ১ মাস, উলিপুর ৬ মাস, মুক্তাগাছা ৮ মাস, ঈশ্বরগঞ্জ ১০ মাস, গৌরীপুর ৬ মাস, নান্দাইল ৪ মাস, ফুলবাড়ীয়া ১ মাস, ত্রিশাল ১০ মাস, সরিষাবাড়ী ১৩ মাস, মাদারগঞ্জ ১ মাস, মেলান্দহ ২ মাস, দেওয়ানগঞ্জ ৬ মাস, জামালপুর ১ মাস, ইসলামপুর ৭ মাস, শ্রীবরদী ১০ মাস, শেরপুর ১ মাস, কেন্দুয়া ৭ মাস, দুর্গাপুর ৭ মাস, মোহনগঞ্জ ৬ মাস, মদন ১ মাস, বিয়ানীবাজার ১ মাস, মাধবপুর ২ মাস, চুনারুঘাট ১ মাস, দিরাই ৭ মাস, জগন্নাথপুর ১ মাস, বড়লেখা ৫ মাস, কমলগঞ্জ ৪ মাস, শায়েস্তাগঞ্জ ৩ মাস, জকিগঞ্জ ২ মাস, পটিয়া ২ মাস, বাঁশখালী ১ মাস, চন্দনাইশ ৪ মাস, মীরসরাই ২ মাস, ফটিকছড়ি ১ মাস, সন্দ্বীপ ৬ মাস, দোহাজারী ১০ মাস, কক্সবাজার ২ মাস, চকোরিয়া ৫ মাস, মহেশখালী ৪ মাস, বাঘাইছড়ি ৩০ মাস, খাগড়াছড়ি ১ মাস, রামগড় ২৬ মাস, মাটিরাঙ্গা ১৩ মাস, বান্দরবন ১১ মাস, লামা ৪ মাস, চাটখিল ১ মাস, কবিরহাট ২৫ মাস, সেনবাগ ১ মাস, হাতিয়া ৩ মাস, দাগনভূঁইয়া ৭ মাস, পরশুরাম ৪ মাস, লক্ষ্মীপুর ৪ মাস, রায়পুর ৮ মাস, রামগঞ্জ ৩ মাস, রামগতি ৪ মাস, লাকসাম ২ মাস, হোমনা ২ মাস, বরুড়া ৪ মাস, নাঙ্গলকোট ১৭ মাস, আখাউড়া ১৪ মাস, চাঁদপুর ৩ মাস, কচুয়া ২ মাস, শাহরাস্তি ২ মাস, ফরিদগঞ্জ ৩ মাস, কোঃপাড়া ৫ মাস, মুকসুদপুর ৩ মাস, রায়পুর ২ মাস, মনোহরদী ১২ মাস, নরসিংদী ১ মাস, ঘোড়াশাল ২ মাস, মাধবদী ২ মাস, সোনারগাঁও ১৩ মাস, ফরিদপুর ২ মাস, মধুখালী ৫ মাস, নগরকান্দা ৫ মাস, ভাঙ্গা ৬ মাস, কালকিনি ১৩ মাস, মিরকাদিম ২ মাস, গোয়ালন্দ ৮ মাস, রাজবাড়ী ৯ মাস, পাংশা ৭ মাস, জাজিরা ৪ মাস, ডামুড্যা ২ মাস, ভেদরগঞ্জ ২ মাস, নড়িয়া ২ মাস, এলেঙ্গা ৪ মাস, মির্জাপুর ১ মাস, ধনবাড়ী ৩ মাস, কালিহাতী ১২ মাস, ভুয়াপুর ৪ মাস, গোলাপপুর ৩৯ মাস, কুলিয়ারচর ১ মাস, কিশোরগঞ্জ ২ মাস, করিমগঞ্জ ২ মাস, কটিয়াদী ২ মাস, বাজিতপুর ১২ মাস, পাকুন্দিয়া ২ মাস, লালমনিরহাট ৭ মাস, পাটগ্রাম ২ মাস, নীলফামারী ২৪ মাস ও কুমারখালী ৩০ মাস।
এছাড়া চালনা ও পাইগাছা পৌরসভায় প্রভিডেন্ট ফান্ড, নওয়াপাড়া অংশবিশেষ বেতন, প্রভিন্টে ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, কেশবপুর অবসর-ভাতা, চৌগাছা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, লোহাগড়া গ্র্যাচুইটি ও সম্মানী, চুয়াডাঙ্গা প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, মোংলা পোর্ট অবসর-ভাতা, মোরেলগঞ্জ গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, সাতক্ষীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, কলারোয়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেহেন্দীগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, ঝালকাঠি গ্র্যাচুইটি ও সম্মানী, বাউফল প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, কুয়াকাটা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পিরোজপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, বেতাগী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, বগুড়া গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, নাটোর অবসর সুবিধা বকেয়া, বড় প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, আটঘরিয়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, সিরাজগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড, উল্লাপাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, নওগাঁ গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, নজিপুর গ্র্যাচুইটি, জয়পুরহাট প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, জয়পুরহাট প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, কষতেলাল প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, বদরগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড, সতেরগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, বীরগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, দিনাজপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, বোদা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, সৈয়দপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, কুড়িগ্রাম অবসর-ভাতা, ভালুকা প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, ফুলপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গফরগাঁও প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, নলিতাবাড়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, নেত্রকোন প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, নবীগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছাতক প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, সুনামগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, হবিগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, আজমেরীগঞ্জ গ্র্যাচুইটি বকেয়া, শ্রীমঙ্গল প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, গোলাপগঞ্জ প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, কানাইঘাট গ্র্যাচুইটি, মৌলভীবাজার প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, বারইয়ারহাট প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসরভাতা, সীতাকুণ্ড প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, রাউজান অবসর-ভাতা, রাঙ্গামাটি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, নোয়াখালী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, চৌমুহনি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, বসুরহাট প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি, সোনাইমুড়ি গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, ফেনী অবসর-ভাতা, সোনাগাজী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, ছাগলনাইয়া গ্র্যাচুইটি, চৌদ্দগ্রাম প্রভিডেন্ট ফান্ড, দাউদকান্দি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অবসর-ভাতা, হাজীগঞ্জ গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, মতলব গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, গোপালগঞ্জ অবসর-ভাতা, তারাব গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, আলফাডাঙ্গা গ্র্যাচুইটি, মাদারীপুর প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, মানিকগঞ্জ গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, সিঙ্গাইর গ্র্যাচুইটি, মুন্সীগঞ্জ গ্র্যাচুইটি, শরীয়তপুর গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, কালীগঞ্জ গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, ঘাটাইল গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, টাঙ্গাইল গ্র্যাচুইটি ও অবসর-ভাতা, ভৈরব গ্র্যাচুইটি বকেয়া, পাবনা অবসর সুবিধা ও দোহার পৌরসভায় গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে।
উৎসঃ যুগান্তর