শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চালকের দেহ শত টুকরো করলেন চিকিৎসক, ফেললেন এসিডে

অনলােইন ডেস্ক : ভারতের একজন চিকিৎসক খুব ঠান্ডা মাথায় শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত চাকু দিয়ে কেটে ফেললেন তার গাড়িচালকের গলা। এরপর অপারেশনে ব্যবহৃত করাত দিয়ে দেহের বাকি অংশ কয়েক শত টুকরা করলেন। সেগুলো এসিড দিয়ে গলিয়ে ফেললেন। এ কাজ করতে গিয়ে বার বার তিনি বাসার ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ান। প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে পায়। তারা দেখতে পায়, তিনি ঘামছেন। তার শরীরে রক্তের দাগ। তাদের সন্দেহ হয়। খবর মানবজমিন।

তারা ফোন দেন পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে ওই ডাক্তারকে। তার নাম ডা. সুনীল মান্ত্রি। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভুপালে।  পুলিশ বলেছে, সুনীল মান্ত্রি একজন সরকারি ডাক্তার। তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইতারসি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। গাড়িচালক বীরেন্দ্র পাচোরির সন্দেহ ছিল যে, তার স্ত্রীর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক আছে ডা. সুনীল মান্ত্রির। এ জন্য ওই গাড়িচালক মাঝে মাঝেই তার সঙ্গে বিবাদে, মারাত্মক কলহ বাধিয়ে দিতো। সেই ক্ষোভ থেকেই গাড়িচালক বীরেন্দ্রকে হত্যা করেছেন ওই ডাক্তার।
তদন্তে দেখা গেছে, ডা. সুনীল মান্ত্রি খুব ঠান্ডা মাথায় ওই খুন করেছেন। এ জন্য তিনি ১০০ লিটার এসিড জড়ো করেছিলেন। বীরেন্দ্র পাচোরির গলা কাটার আগে ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে অচেতন করে ফেলেন। বাথরুমে নিয়ে তার দেহকে টুকরো টুকরো করতে সময় লাগান তিন ঘন্টা। পুলিশ ওই বাসায় জমা করে রাখা এডিসসহ ড্রাম জব্দ করেছে। উদ্ধার করেছে গাড়িচালকের দেহের খন্ডিত কমপক্ষে দুই ডজন টুকরো। এর মধ্যে রয়েছে মাথাও। হোসাঙ্গাবাদের এসপি অরবিন্দ সাক্সেনা বলেন, ওই ড্রামের মধ্যে শরীরের এসব অংশ ভাসছিল।

অরবন্দি সাক্সেনা আরো বলেন, ডা. সুনীল মান্ত্রির স্ত্রী একটি বিউটি পার্লার চালান। সেখানে কাজ করেন বীরেন্দ্র পাচোরির স্ত্রী। ওদিকে ২০১৮ সালের এপ্রিলে মারা যান ডা. সুনীল মান্ত্রির স্ত্রী। ওই বিউটি পার্লারটি তিন মাসের বেশি অব্যাহতভাবে চালিয়ে নিতে থাকেন বীরেন্দ্রর স্ত্রী। ডা. সুনীল মান্ত্রি বলেন, তার গাড়িচালক বীরেন্দ্র তার সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঝগড়ায় লিপ্ত হতো। সন্দেহ ছিল তার স্ত্রীর সঙ্গে আমার অবৈধ সম্পর্ক আছে। দু’জনের মধ্যে যখন এমন সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে তখন গত সোমবার দাঁতে ব্যথা নিয়ে ডা. সুনীল মান্ত্রির কাছে যান বীরেন্দ্র। এ সময় তাকে ডা. সুনীল মান্ত্রি বলেন যে, তাকে একটি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। এ কথা বলে তিনি বীরেন্দ্রকে একটি ইঞ্জেকশন দেন। এতে বীরেন্দ্র অচেতন হয়ে পড়েন। এরপরই অপারেশনে ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে বীরেন্দ্রর গলা কাটেন ডা. সুনীল মান্ত্রি। মৃতদেহ টেনে নিয়ে যান দ্বিতীয় তলার বাথরুমে। সেখানে রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত ওই দেহ কেটে টুকরো টুকরো করতে থাকেন।

ডা. সুনীল মান্ত্রির বাড়ি আনন্দনগরে ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায়। তিনি বীরেন্দ্রর দেহ যখন টুকরো টুকরো করেন তখন বার বার ব্যালকনিতে যান। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে বেশ বিপর্যস্ত দেখতে পান। তিনি ঘামছিলেন। ঘন ঘন বারান্দায় যাচ্ছিলেন। প্রতিবেশীদের কেউ কেউ তার শরীরে রক্তের দাগ দেখতে পান। তারাই খবর দেন পুলিশে। এসপি সাক্সেনা বলেন, খবর পেয়ে আমাদের টিম পাঠাই ঘটনাস্থলে। পুলিশ দেখে ভড়কে যান ডা. সুনীল মান্ত্রিঅ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনিই আমাদের টিমকে ওই ড্রাম দেখিয়ে দেন। তা ভর্তি ছিল এসিড। আর তার ভিতর ছিল বীিরেন্দ্রর কর্তিত দেহাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়