এস এম নূর মোহাম্মদ : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সমাজের অসঙ্গতি দূরীকরণে এবং সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ‘আইনে তারুণ্য’ নামক সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম’র সদস্য ও রাইজিংবিডি ডটকমের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক মেহেদী হাসান ডালিম’ আইনে তারুণ্য’ গ্রন্থের লেখক। আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাঈদ আহমেদ খান, রাইজিংবিডি ডটকমের প্রকাশক এস এম জাহিদ হাসান, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান ও আশুতোষ সরকার প্রমূখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মানুষের জানার অধিকার এবং গণমাধ্যমের তথ্য জানানোর গভীর দায়বদ্ধতার প্রশ্নে সামাজিক অঙ্গীকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশে সংবাদ মাধ্যমের অনুপস্থিতির কথা ভাবাই যায় না। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতন্ত্র ও সংবাদ মাধ্যম পরস্পর হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। সঙ্গত কারণেই সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একজন আদর্শ মানুষের সাধারণ গুণ ও যোগ্যতার পাশাপাশি একজন আদর্শ সাংবাদিকের দরকার বিশেষ মাত্রার আরো কিছু প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও গুণাবলী। একজন দক্ষ সাংবাদিক একটি সংবাদ ঘটনার বয়ানকারি এবং দক্ষ যোগাযোগকারী। সমাজ সভ্যতার অগ্রগতিতে, জাতীয় জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে, মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং মানবাধিকার সুরক্ষার শাণিত চেতনা একজন আদর্শ সাংবাদিকদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :