আক্তারুজ্জামান : বেনি হাওয়েল ঝড়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে। হাওয়েলের ঝড়ো ফিফটিকে পর্দার আড়ালে ঢেকে দিয়ে দিয়েছেন এভিন লুইস। লুইসের ঝড়ে ভর করেই ষষ্ঠ বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারে নেমেছে সালাউদ্দিনের শিষ্যরা।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনও বেগ পেতে হয়নি ভিক্টোরিয়ান্সদের। দলীয় ৩৫ রানে তামিম ইকবাল ফিরে গেলেও এভিন লুইস, আনামুল হক এবং শেষের দিকে শামসুর রহমানের ঝড়ে ৭টি বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে কুমিল্লা। এরই মধ্যে দিয়ে বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে সালাউদ্দিনের দল।
কুমিল্লার হয়ে ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন এভিন লুইস ও শামসুর রহমান। লুইস ৫৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে অনবদ্য ৭১ রান করেন। তার সঙ্গী হিসেবে ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান। এর আগে ৩২ বলে ৩৯ রানে ফিরে যান আনামুল। যাওয়ার আগে লুইসের সঙ্গে ৯০ রানের অসাধারণ একটি জুটি উপহার দিয়ে যান দলকে। এই জুটিই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।
এর আগে শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়েই সোমবার মিরপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার বিরুদ্ধে নেমেছিল মাশরাফি বাহিনী। টস জিতে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরও দাঁড় করিয়েছিল। যদিও শুরুতে রানের গতি ছিল না রাইডার্সদের। তবে শেষদিকে বেনি হাওয়েল ও রাইলি রুশোর ব্যাটে ভর করে দেড়শ পেরোনো লক্ষ্য দাঁড় করায় রংপুর।
মেহেদি মারুফ ও আর মিথুন দলকে বিপদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও গেইল, রুশো আর হাওয়েলের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি ছুটতে থাকে। গেইল অবশ্য ঠান্ডা মেজাজে ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। রুশো ৩১ বলে ৪৪ এবং হাওয়েল ২৮ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার হয়ে বল হাতে সাইফউদ্দিন, মেহেদি, ওয়াহাব রিয়াজ ও সঞ্জিত সাহা একটি করে উইকেট নেন।
তবে হেরে গিয়েও তেমন ক্ষতি হয়নি মাশরাফিদের। কেননা ফাইনালে ওঠার পথ তাদের বন্ধ হয়নি। এখনো দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ আছে টম মুডির শিষ্যদের জন্য। আগামী বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিরুদ্ধে ফাইনালে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে খেলবে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :