শিরোনাম
◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:২১ সকাল
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তর্ক করবেন কীভাবে?

সাইদুর রহমান: তর্ক করা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের একটি। তর্কের স্বভাব মিশে আছে মানুষের মন-মানসে। তর্কের নিন্দনীয় ও প্রশংসনীয় উভয় দিকই রয়েছে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘মানুষ সবচেয়ে বেশি বিতর্ককারী।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত : ৫৪)  বিতর্কে কখনো সত্যকথন, প্রমাণ উপস্থাপন ও যথার্থ মতামত প্রকাশ করা প্রশংসনীয়। আর বিতর্কে যখন তিক্ততা ও ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়, তখন তা নিন্দনীয়।

আল্লাহ তাআলা প্রশংসনীয় বিতর্কের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার রবের পথে হেকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সঙ্গে বিতর্ক করো।’ (সুরা নাহাল, আয়াত : ১২৫) সুতরাং আমাদের বিতর্ক যেনো হয় উত্তম পদ্ধতিতে। নম্র, ভদ্র ও সুন্দর বাক্য বিনিময়ে। বিতর্ক যেনো খারাপ ভাষায় না হয়। সে সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সঙ্গে বিতর্ক করো না।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৪৬)

হীন ও কুতর্কে লিপ্ত হওয়া নিন্দনীয় ও দোষনীয়। এতে সত্য উন্মোচিত হওয়ার পরিবর্তে মনে জেদ ও রাগ বাড়ে। জেদের বশবর্তী হয়ে প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। পরিণামে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ-হিংসা ও কলহের সৃষ্টি হয়।
দ্বন্দ্ব-কলহ আল্লাহর নিকট খুবই অপছন্দনীয়। আল্লাহ বলেন, ‘তারা কেবল বাক-বিতণ্ডর উদ্দেশ্যেই আপনাকে এ কথা বলে, বস্তুত এরা তো এক বিতণ্ডকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা যুখরুফ, আয়াত : ৫৮)

কুতর্কে লিপ্ত হওয়ার নানান উপকরণের মাঝে আমাদের বসবাস। যার কয়েকটি এমন : ১. প্রকাশ্যে, অসময়ে এবং অনুপযোগী স্থানে উপদেশ ‘বিলি’ করা। মোটকথা অযথা পন্ডিতি দেখানো ২. অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা। চাই সেটা নৈতিক হোক বা অনৈতিক। ৩. অবসর থাকা। কাজকর্ম না থাকলেও মানুষ কুতর্কে লিপ্ত হয়।

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সেসব বিষয়েই বারণ করেছেন, যাতে বান্দার নগদে বা ভবিষ্যতে কোনো ক্ষতি রয়েছে। তিনি মানুষকে কুতর্ক করতে নিষেধ করেছেন। কেননা এটা অনেক অনিষ্টের জন্মদাতা।  কুতর্কের ভয়াবহ কিছু ক্ষতিকর দিক- এক. কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া। প্রায় আমরা সকলেই জানি যে, আল্লাহ তায়ালা শবে কদরের মতো মহান রাতের সুনির্দিষ্ট সময়ের বিষয়টি কেবল ঝগড়া-কুতর্কের কারণে তুলে নেন।
দুই. অন্তর কঠিন করে ও শত্রুতার জন্ম দেয়। কুতর্ক প্রাচীন বন্ধুত্ব ও সুদৃঢ় বন্ধনকে খুলে দেয়। নিদেনপক্ষে চড়াও হওয়ার মানসিকতা তৈরি করে। তিনি বলেন, ‘বাক-বিতণ্ডকারী ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নিকট অত্যধিক অপছন্দনীয়।’ (বুখারি, হাদিস নং : ৬৬৭৩)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়