শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা ভাষা কি বিলুপ্ত হয়ে যাবে?

অসীম সাহা : আজ ১ ফেব্রুয়ারি। আমাদের ভাষার মাস। এই মাসে অনেক সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে অবশেষে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার প্রমুখের জীবনদানের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষা হিশেবে স্বীকৃতি আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন বাংলার জনগণ। সেই শুরু। বাঙালি আর পেছন দিকে ফিরে তাকায়নি। ধাপের ধাপে নিজেদের অধিকার আদায়ের কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯১৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন; অবশেষে ৭১-এর ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ঘোষণায় উদাত্ত আহ্বানে সাড়ে সাত কোটি মানুষের সহযোগিতা এবং ৩০ লাখ শহিদ ও দুলাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর সর্বক্ষেত্রে বাংলার ভাষা প্রতিষ্ঠিত হবে, এটা ছিলো জাতির প্রত্যাশা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, জাতির সে-আশা তো পূরণ হয়ইনি, উল্টো বাংলার ওপরে চলছে বলাৎকারের মহোৎসব। যে-যেভাবে খুশি, বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করছেন। কথ্যরূপে আঞ্চলিক ভাষার রাজত্ব চলতে পারে, কিন্তু লিখিতরূপে তার ব্যবহার মানে জবরদস্তি। এটা কিছুতেই চলতে পারে না।

মনে রাখতে হবে, সারা পৃথিবীতে বহুল ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে বাংলা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। অথচ সেই ভাষাকে অবনমনের স্থানে নামিয়ে আনতে কিছু অশিক্ষিত এবং তথাকথিত অভিজাত বাংলাকে বাংলিশ ও হিংলিশে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এটা সরাসরি শহিদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।

পৃথিবীতে যেখানে প্রতি সেকেন্ডে একটি করে ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেখানে কারা সেই ষড়যন্ত্রকারী, যারা বাংলা ভাষাকে সেই বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিতে চায়? বুদ্ধির ঢিবি তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা চুপ। ড. শহিদুল্লাহর মতো পণ্ডিতের জন্ম হচ্ছে না। ভাষাবিদ বলতে যাদের বোঝায়, তারা অর্ধশিক্ষিত টিউটোরিয়ালের শিক্ষক। বাংলা একাডেমির যে দায়িত্ব ছিলো, তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বাংলা ভাষা এক ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। এ-অবস্থায় বাংলা ভাষাকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র সুশিক্ষিত সংস্কৃতিবান মেধাবী তরুণরা। তাদের ওপর ভরসা রেখেই আমাদের পথ চলতে হবে। ভাষার মাসে এই হোক আমাদের শপথ।

লেখক : কবি ও সংযুক্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের নতুন সময়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়