অনলাইন ডেস্ক : সরকারি ও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন’২০১৯) মুদ্রানীতি সম্বলিত ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এ সময় গভর্নর বলেন, অর্থবছরের প্রথমার্ধের প্রকৃত গতিধারা বিবেচনায় নিয়ে জুন ২০১৯ শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি আগেকার ৮.৫ ও ১৬.৮ শতাংশ থেকে কিছুটা সংশোধন করে যথাক্রমে ১০.৯ ও ১৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে রেপো (পুনঃক্রয়চুক্তি) ও রিভার্স রেপো (বিপরীত পুনঃক্রয়চুক্তি) সুদ হার ৬.০ এবং ৪.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এছাড়া, অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাশিত জোরালোতর বিনিয়োগ কর্মকাণ্ডের সূত্র আমদানির সম্ভব্য বৃদ্ধির কারণে নিট বৈদেশিক সম্পদের (এনএফএ) ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি প্রথমার্ধের প্রক্ষেপিত ১.৬ শতাংশ (নেগেটিভ) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৪ শতাংশে (নেগেটিভ) দাঁড়াবে বলে প্রক্ষেপিত হয়েছে, যা বাজার তারল্যের ওপর এবং বৈদেশিক মুদ্রি রিজার্ভ স্থিতির উপর বর্ধিত চাপ আনতে পারে।
গভর্নর আরো বলেন, মুদ্রানীতির প্রথম মূখ্য উদ্দীষ্ট ভোক্তামূল্যষ্ফীতি পরিমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনে প্রথমার্ধের সাফল্য বেশ সন্তোষজনক। জিন ২০১৮ শেষের ৫.৭৮ শতাংশ গড় বার্ষিক ভোক্তা মূল্যষ্ফীতি ডিসেম্বর ২০১৮ শেষে ৫.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, মুদ্রা সরবরাহ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরে বাংলাদেশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে।
আপনার মতামত লিখুন :