নিজস্ব প্রতিবেদক : বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। বোলাররা যেন পাত্তাই পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে শেষ হওয়া চারটি ম্যাচেই রান এসেছে দুশো বা তার বেশি কিংবা কাছাকাছি। চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে ব্যাটিং করে হাসছেন ব্যাটসম্যানরা। ২২ গজে তাদের ব্যাটিং তান্ডবে পুড়ছেন বোলাররা। তবে টি-টোয়েন্টির যে আসল মজা তা কিন্তু বেশ ভালোভাবে উপভোগ করছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।
চট্টগ্রামের উইকেটে রান হবে তা আগের থেকেই ধারণা ছিল ব্যাটসম্যানদের। আবার বোলারদের জন্য এখানে রান আটকানো দুরহ। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য না থাকলে টিকে থাকা কঠিন। বুদ্ধি খাটিয়ে এবং একটু বৈচিত্র্য নিয়ে বোলিং করলে বোলারদের জন্য এখানে থাকে অনেক কিছু, এমনটাই মনে করেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন।
রংপুরের মুখোমুখি হওয়ার আগে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে গতকাল সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে রুবেল বলছিলেন ‘চট্টগ্রামের উইকেট খুবই সুন্দর। ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক একটা উইকেট। খুব সুন্দর উইকেট, অনেক রান হচ্ছে। এই ধরণের উইকেটে আমরা যারাই বল করবো না কেন খুব বুদ্ধি খাটিয়ে বল করতে হবে। বুদ্ধি খাটিয়ে বল করলে বোলারদের জন্যও অনেক কিছু আছে এখানে।’
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত বিপিএলের চারটি ম্যাচ হয়েছে। প্রথম দিনই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রাইলি রুশো ও অ্যালেক্স হেলস। তাদের তান্ডবে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। গতকাল রাজশাহী কিংস চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে তোলে ১৯৮ রান। জবাবে চিটাগংও করেছিলে ১৯১ রান। দিনের খেলায় সিলেট সিক্সার্স করে ১৯৫ রান। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের ২২ গজে রানের ফোয়ারা।
সোমবার এ মাঠেই মাঠে নামবেন ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার রুবেল। আট ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া রুবেল হোসেন অবশ্য কোনো চাপ অনুভব করছেন না। ‘আমি কোন চ্যালেঞ্জ ফিল করছি না। আমি প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো বল করতে চাই। মাঝে মধ্যে ভালো বলেও উইকেট পাই, মাঝে মধ্যে খারাপ বলেও উইকেট পাই। উইকেট পেতে কিছু কিছু সময় ভাগ্য সহায়ক হতে হয়। এখানে বোলিং চ্যালেঞ্জ না, আমার লক্ষ্য ভালো করতে চাই।’
এ ধরণের উইকেটে বোলারদের কিভাবে বল করা উচিত সেই বিষয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন রুবেল। ‘এটা যেহেতু ব্যাটসম্যানদের সহায়ক উইকেট, আমার কাছে মনে হয় ব্যাটসম্যানকে রিড করে বল করা উচিৎ। উইকেটটা কি চাচ্ছে? কেমন ব্যবহার করছে। পাশাপাশি বোলার কি চাচ্ছে, দলের পরিকল্পনা কি, আমার মনে হয় এসবের বাস্তবায়ন ভালোমতো করতে পারলে সফলতা পাওয়া যাবে।’