কামরুল হাসান : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, এখন পযর্ন্ত যা পরিবেশ দেখা যাচ্ছে তাতে ভয়ংকর কিছু না ঘটলেও কিছু না কিছু সহিংসতাতো ঘটছে। মানুষ খুনা-খুনির ঘটনা না ঘটলেও হামলা, ভাংচুরের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তিনি বলেন, হয়তো ইচ্ছা করে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানোর একটা অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইচ্ছা করে হোক বা না হোক এর ফলে ভোটাররা স্বচ্ছন্দে ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আর ভোটার যদি ভয় পেয়ে ভোট কেন্দ্রে না যায় তাহলে সেটা অবাদ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন যেহেতু ভোটারদের কেন্দ্র করে, সেখানে ভোটার না থাকলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্র। দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করে কখনো কোন ব্যক্তির কল্যান হতে পারে না। প্রজাতন্ত্রের মালিক যেহেতু জনগণ সেহেতু জনগণের ভোটেই প্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হবে এর ফলে প্রতিনিধিদের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা বাড়বে, জনগণ উপকৃত হবে। তিনি একাত্তরপূর্ব পাকিস্তান ও শৈরশাসন আমলের (১৯৭৫-১৯৯০) কথা উল্লেখ করে বলেন, যে জনপ্রতিনিধি বা শ্বাসকগোষ্ঠী জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয় না তাদের দ্বারা জনগণের কোন উপকার সাধিত হয় না। তাই প্রকৃত মালিক তথা জনগণকে তার অধিকারের ব্যপারে সচেষ্ট হতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে এবং তার প্রদানকৃত ভোটের হেফাজতের দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র জনগণের জন্য নির্বাচন আয়োজন করেন এবং নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের দায়িত্ব থাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের উপর। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের উপর অসীম দায়িত্ব দেয়া আছে। তিনি সরকারকে নির্দেশ প্রদান করবেন নির্বাচনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ ও প্রশাসনের সকলের উপর খবরদারি করতে পারবে। ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচনের জন্য নির্দেশ দেবেন এবং কোথাও এর ব্যত্যয় হলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, যদি কেউ কমিশনের কথা না শোনে এবং কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে জনগণের আস্থা আসবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন একটি উৎসব এবং সাংবিধানিকভাবে যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক তাই তাকে জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেয়া প্রয়োজন। যেখানে তিনি নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু-সুন্দর, ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেবেন এবং জনগণকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আহবান জানাবেন। ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকার প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটনের সাথে একান্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।