শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারো কষ্টের কারণ না হোক ওয়াজ মাহফিল

সুফিয়ান ফারাবী : ইসলাম প্রচারের জন্য নানান রীতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ওয়াজ-মাহফিল। বাঙালি জাতির সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যম। বাঙালিরা ওয়াজ-মাহফিলকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ভালোবাসেন। নিজ খরচে আয়োজন করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।

গ্রাম বাংলার যুবক-বৃদ্ধ সবাই এরকম একটি আয়োজন করার অপেক্ষায় থাকেন সারাবছর। কবে শীত আসবে, কবে মাহফিলের আয়োজন করবেন- এমন অবস্থা। আমাদের পাড়ায় কয়েকজন ছেলেকে দেখেছি, সারাবছর আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘ভাই, এবছর ওয়াজ মাহফিল কবে থেকে শুরু হবে? তাঁদের প্রশ্নগুলো শুনলে মনটা গর্বে ভরে উঠে। খুব আনন্দ হয়। এমন মানসিকতার যুবক এ সমাজে নেহায়েত কম নয়। বেশি, খুব বেশি।

মাহফিলের সিজন আসলে, সারা বাংলার যেখানেই যাই বক্তাদের সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহর গুণগান শুনতে পাই। মাহফিল প্রাঙ্গন মানুষে মানুষে ভরে যায়। যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। ছোট্ট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এক সামিয়ানায় জড়োসড়ো হয়ে বসেন। পর্দার আড়ালে কান পেতে রাখেন মুসলমান মা ও বোনেরা। প্রায় অর্ধ রাত পর্যন্ত শ্রবণ করেন কুরআনের ঐশী বাণী। বিষয়টা বাঙালির জন্য অবশ্যই গর্বের।

তবে সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা মাহফিলগুলোতে উপস্থিত হতে পারেন না। নানা সমস্যায় থাকেন। যেমন অসুস্থ ব্যক্তিগণ। অসুস্থ মানুষের মনে শত ইচ্ছে থাকলেও তাঁরা আসতে পারেন না। ওয়াজ শোনার চেয়ে তাঁদের জন্য বিশ্রামটাই বেশি প্রয়োজন। তাঁদের ঘুমে সমস্যা হোক, ইসলাম এর সমর্থন করে না। ইসলাম অসুস্থ ব্যক্তিকে বিশ্রামের আদেশ দেন। সেদিন আমাদের পাড়ায় একটা মাহফিল ছিলো। বড় একজন আলেম তাফসির পেশ করেছিলেন। খুব ভালো লেগেছিল। ওয়াজ শুনে বাড়িতে আসার সময় ইয়াকুব চাচার সঙ্গে দেখা হলো। বারান্দায় বসে ছিলেন তিনি। আমি বললাম, চাচা! আপনার তো শরীর ভালো না। রাত তো অনেক হয়েছে। এখনো জেগে আছেন কেন?

ইয়াকুব চাচা বিরস মুখে বললেন, সন্ধ্যা থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করছি। মাহফিলের আওয়াজে ঘুমুতে পারছি না। আচ্ছা, তুমিই বলো, এতো সাউন্ড দিয়ে মাহফিল করার কি খুব দরকার? চাচার কথার কোন উত্তর দিতে পারিনি সেদিন। উনার প্রশ্ন শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছিল। তিনি আসলেই সত্য বলেছেন। এতো সাউন্ড দিয়ে ওয়াজ-মাহফিল না করেও ইসলাম প্রচার হয়। আমাদের নবী (সা.) সারাজীবন দ¦ীনের কথা বলেছেন, মানুষকে আল্লাহর দিকে ডেকেছেন, কিন্তু কাউকে কষ্ট দেননি। তাঁর কারণে কোন মুসলিম বা অমুসলিম কষ্ট পায় নি। দ্বীনের দাওয়াত দেয়া যেমন নবীওয়ালা কাজ ঠিক তেমনি কাউকে কষ্ট না দিয়ে দ্বীনের প্রচার করাও রাসূল (সা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের কারণ।

ওয়াজ-মাহফিল একটি পূণ্যের কাজ। এর বহুবিধ ফায়দা আছে। তবে এর মাধ্যমে যেন কারো কোন ক্ষতি না হয়, সেদিকেও পূর্ণ লক্ষ্য রাখা আমাদের কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়