শিরোনাম
◈ ইরানের নতুন ড্রোন 'আরশ-২' ইসরাইল-আমেরিকার যেকোনো ঘাঁটি ধ্বংসের সক্ষমতা! ◈ ‌দে‌শের রাজনী‌তি চল‌ছে কোন প‌থে,  নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি কি সরকারের মুখােমুখি? ◈ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে জেল ◈ ব্রা‌জিল নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিশিয়ার বিরু‌দ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ◈ আগামী বছরের টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, শেষ জায়গা দখল করলো কারা?  ◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি একাই ছাড়িয়ে চলেছে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মরক্কোর মোট রপ্তানি ◈ ইসি’র পরিকল্পনা: বড় জেলায় একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা, দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের হাতে ◈ জুলাই সনদ বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট মাইলফলক: খালেদা জিয়া ◈ বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক ◈ রাকসুর ৮ কেন্দ্রের ফল: ভিপি পদে প্রায় চারগুণ ভোটে এগিয়ে শিবিরের জাহিদ

প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারামন বিবি সঠিক সময়ে মূল্যায়িত হননি : বর্ণনা ভৌমিক

আমিরুল ইসলাম : বীর প্রতীক তারামন বিবিকে যখন মূল্যায়ন করার সময় ছিলো, তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ছিলো না বলে জীবনের গুরুত¦পূর্ণ সময়টাতে আমরা তাকে স্বীকৃতি দিতে পারিনি বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ মলয় ভৌমিকের কন্যা, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক বর্ণনা ভৌমিক।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারামন বিবি বাংলাদেশের দুজন বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত নারীর মধ্যে একজন। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করার পর ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ বা অন্তরালে ছিলেন। তিনি যখন মুুক্তিযুদ্ধে যান তখন তার বয়স তেরো থেকে চৌদ্দ বছর। ২০১৮ সালের একটা নারী এখনো কতো প্রতিকূলে আছে । ১৯৭১ সালের প্রেক্ষাপটে প্রত্যন্ত এলাকার একটা কিশোরী মেয়ে হয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কখনো রান্না করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। কখনো প্রতিবন্ধী সেজে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীর কাছে আদান-প্রদান করেছিলেন। কখনো নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি সম্মুুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাধীনতার এতো বছর পর আজকে বিজয়ের মাসের শুরুতে তাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, তারামন বিবির মতো মানুষ আসলে স্বীকৃতির জন্য বা অর্থলাভের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। এই যে আজকে তারামন বিবিকে দেশের সবাই চেনে এটাই তারামন বিবির বড় প্রাপ্তি। আজকের প্রজন্ম তারামন বিবির কিশোরী বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের চেতনাকে যদি ধরে রাখতে পারেন, তাহলে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার সংগঠনে তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়াতে পারবে। তার সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে পারলে বর্তমান প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়