রমজান আলী : সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেমন বলেছেন, সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন। ভারতসহ আশে পাশের অনেক দেশেই সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপত্তা আইন রয়েছে। বাংলাদেশে এ আইন দরকার। ১৯৭১ সালে আমরা সবাই এক সাথে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ সংখ্যালঘু বলে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে “জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ এবং সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা” গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৭৫-এর পর থেকেই সংখ্যালঘুরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। তবে নির্বাচন আসলে অনেক সময় সংখ্যালুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে সকল রাজনৈতিক দলের উচিত এই বিষয়ে খেয়াল রাখা। যাতে নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের উপর কোনো নির্যাতন না হয়। তবে ২০০১ সালে যেভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয়েছিলতা ছিল অমানবিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
আলোচক ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন রিইব এর নির্বাহী প্রধান ড. মেঘনা গুহাঠাকুরতা, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার ও বাংলাদেশ খ্রীস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যাামল দত্ত ও ধারণাপত্র উপস্থাপনা করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ।
অনুষ্ঠান সভায় প্রধান ছিলেন, সেলফ হেল্প এসোসিয়েশন ফর রুরাল পিপল থ্রু এডুকেশন এন্টারপ্রিনিয়রশিপ (শারি) নির্বাহী পরিচালক প্রিয়া বালা বিশ্বাস। সম্পাদনা : খোকন।
আপনার মতামত লিখুন :