ইসমাঈল হুসাইন ইমু : র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকলেও নির্বাচনের পরে মাদকের বিরোধী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে। শনিবার তেজগাঁও ফ্লিম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসিতে) মাদকের অপব্যবহার রোধ সম্পর্কিত ‘জাতীয় বিতর্ক’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে আসতো । সেই মাদকের আকড়া আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি , এবং আমরা ভারত সরকারের সাথে কথা বলে এটাকে প্রতিহিত করেছি। কাজই ভারত থেকে আর বাংলাদেশে মাদক আসে না। আমাদের কাছে তথ্য আছে মাদকের বড় বড় মাদকের চালান আসে মিয়ানমারে থেকে। তাছাড়া যারা মাদক ব্যবসা করতে নারজ তাদেরকে ঐই দেশ থেকে বিভিন্ন অত্যাচার করে বিতাড়িত করা হয়েছে।
র্যাব ডিজি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমার আশ্চর্য হয়ে গেছি যে, এর সাথে কত লোক সম্পৃক্ত রয়েছে। মাদকের সাথে স্কুল শিক্ষকেরা জড়িত, মাদ্রাসার শিক্ষক জড়িত, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা আর প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের অনেক লোক জড়িত আছে। এর শিকড় অনেক অনেক গভিরে যেটা কল্পনা করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশী অভিযান চলাকালে মাদক বহনের জন্য নতুন কৌশল ধারন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। যেমন ট্রাকের তেলের ট্যাংকে ভিতরে, গ্যাসের সিলেন্ডরের মধ্যে বিভিন্ন কৈাশল অবলোপন করে তারা মাদক ব্যাবসা করছে। মাদক দ্রবের গডফাদার অনেক গভিরে থাকে ইচ্ছা করলে তাদের ধরা যায় না। বেসরকারি হিসেবে দেশে বর্তমানে ৭০ লাখের মত মাদকাসক্ত রয়েছে। দেশে ইয়াবা ও হিরোইনের গ্রাহক বেশি। মাদকের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে দ- প্রদান, গ্রেফতারই সমাধান নয়। সবাইকে আগে মাদকের সহজ লভ্যতার পথ বন্ধের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।
মাদকের অপব্যবহার রোধ সম্পর্কিত ‘জাতীয় বিতক’ ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র ছায়া সংসদে অংশগ্রহণ করেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি এবং আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।