শিরোনাম
◈ সাতরাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ ◈ আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে ভারতের সতর্কবার্তা: বাংলাদেশে মৌলবাদ, চীন সীমান্ত অচলাবস্থা ও পাকিস্তানের ভূমিকা ◈ ইরানে অনুপ্রবেশ করে নারী মোসাদের দুর্ধর্ষ অভিযান (ভিডিও) ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, বরুশিয়ার নি‌শ্চিত জয় রুখে দিলো জুভেন্টাস ◈ দূর্গা পুজাতে ভারতে গেল ৮ ট্রাক ইলিশ ◈ এমবাপ্পের দুই পেনাল্টি গোলে চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লি‌গে রিয়াল মাদ্রিদের শুভ সূচনা ◈ যে কারণে শিবির ক্যাম্পাসে জিতছে, সেই কারণেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে জিততে পারে: দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ ◈ টানা দুই হা‌রের পর জ‌য়ে ফির‌লো মেসির ইন্টার মায়ামি ◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:৩৩ রাত
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নানাবিধ রোগের মহৌষধ জার্মানী লতা

মতিনুজ্জামান মিটু : আগাছা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বিভিন্ন রোগের মহৌষধ জার্মানী লতা। এছাড়া ভূমিক্ষয় রোধ, স্যুপ রান্নার সবজি ও গো-খাদ্যসহ নানাভাবে ব্যবহৃত হয় ধন্বন্তরী বা মহা উপকারী এই লতা জাতীয় গাছটি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় জানান, হঠাৎ কোথাও কেটে রক্তপড়া শুরু হলে এর দুই-তিনটি পাতার রস কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই রক্তপড়া বন্ধ হয়ে কাটা জায়গা জোড়া লেগে যায়। বাড়ির বেড়ায় বেড়ে ওঠা হৃৎপি- আকৃতির এই পাতার প্রচলিত নাম জার্মানী লতা। এটি আসাম লতা নামেও পরিচিত।

এর ভেষজগুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে নিজের পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, বিশেষ করে কাটা ক্ষত, রক্তপড়া বন্ধ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডায়রিয়া, ঘা, দাদ, চুলকানি, খোস-পাঁচড়া, অ্যাকজিমা, সিফিলিস, সাপের কামড়ে বিষক্রিয়া, বিভিন্ন বিষাক্ত পোকার কামড়, পাকস্থলীর প্রদাহ, ম্যালেরিয়া জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডা নিবারণে এবং ডায়াবেটিস রোধ ও যকৃতের সুরক্ষায় এটি ব্যবহৃত হয়। এ গাছের ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিনাশী গুণ আছে। এর কা- বা লতা আদার সঙ্গে পিষে রস করে বা সবজির সাথে খেলে পাকস্থলীর প্রদাহ উপশম হয়। বসন্ত ও হামে এর পাতার রস পানিতে মিশিয়ে গা ধুইয়ে দিলে উপকার হয়।
ভূমিক্ষয় রোধ করতে ব্যবহৃত হয় এই গাছ। এর পাতা কোনো কোনো দেশে স্যুপ রান্নায় সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গো-খাদ্য হিসেবেও এর পাতা চমৎকার। পাতার ক্বাথ কফ ও চোখের ক্ষত সারাতে ব্যবহৃত হয়।

জার্মানী লতা বা আসাম লতা ইত্যাদি গাছের উৎপত্তি মধ্য আমেরিকায়। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন, শ্রীলংকা, চীন, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মালাউ, কানাডা, মেক্সিকো, বাহামা, গুয়াম, পাপুয়া নিউগিনি, নিউ ক্যালিডোনিয়া প্রভৃতি দেশে এই লতা জাতীয় গাছ দেখা যায়। এ গাছ খুব দ্রুত বাড়ে, ২৪ ঘণ্টায় তরুন গাছ প্রায় ৮০ মিলিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়