শিরোনাম
◈ সি‌লে‌টে নয়, ঢাকা পর্ব দি‌য়ে শুরু হচ্ছে বিপিএল ◈ মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে বাড়ানো হলো নিরাপত্তা ◈ মোদির শুভেচ্ছায় কৃতজ্ঞতা জানালো বিএনপি ◈ রাঙ্গামাটিতে কয়েক সেকেন্ডের মাঝারি ভূকম্পন অনুভূত ◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত

প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জয়তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : জন্মদিনের প্রণতি

অসীম সাহা : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ (২১ ভাদ্র, ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)-২৩ অক্টোবর ২০১২) বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার মাইজপাড়া গ্রামে। বাংলাসাহিত্যের বহুমাত্রিক লেখকের নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত চার দশক ধরে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা লেখক হিসেবে বাঙালির কাছে, বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। সুনীল একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামনিস্ট হিসেবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি জীবনানন্দ-পরবর্তী আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক। তাঁর কবিতার বহু পঙ্ক্তি সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। তাঁর ‘নীরাবিষয়ক কবিতা’ তরুণ-তরুণীদের প্রতিমুহূর্তে উজ্জীবিত করার কবিতা। তাঁর বিখ্যাত পঙ্ক্তি “তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ/আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি” তো সর্বজনপঠিত এক অসাধারণ জনপ্রিয় কবিতা, যা চিরকালীন রোমান্টিকতায় আস্বাদে সিক্ত।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মাত্র চার বছর বয়সে কলকাতায় চলে যান। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি ‘কৃত্তিবাস’ নামে একটি কবিতাপত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’ এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম উপন্যাস ‘আত্মপ্রকাশ’ প্রকাশিত হলে পাঠকসমাজে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। এরপর আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলাসাহিত্যে নিজের অবস্থানটি পাকাপোক্ত করে নিতে তিনি বহুমুখী রচনায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে : আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, হঠাৎ নীরার জন্য, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, মনের মানুষ প্রভৃতি। শিশুসাহিত্যে তিনি ‘কাকাবাবু-সন্তু’ নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা।

বাংলাদেশে জন্ম হলেও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বড় হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। পড়াশুনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তখন ব্যাংকের পিয়নের চেয়েও স্কুল মাস্টারের বেতন ছিলো কম। তাই সুনীলের মা কখনোই চাননি তাঁর ছেলে শিক্ষকতা করুক। পড়াশুনা শেষ করে কিছুদিন তিনি প্রাইভেট চাকরি করেছেন। তারপর থেকে সাংবাদিকতা। তার পাশাপাশি ছিলেন সার্বক্ষণিক লেখক। তিনি সময়ের অপচয় করেননি। তাই অজস্র রচনাসম্ভারে তিনি বাংলা সাহিত্যকে ক্রমাগত সমৃদ্ধ করেছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কখনো নাড়ির টানকে উপেক্ষা করেননি। তাই যখনি ডাক পড়েছে, মাটির টানে, শেকড়ের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। ছুটে গেছেন তার জন্মাটিতে। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের প্রতি তার ডয়লো অগাধ মমত্ব। তাই বয়সের ভার উপেক্ষা করেও তিনি বারবার এসে বাংলাদেশের মাটির স্পর্শে নিজেকে ধন্য করতে চেয়েছেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তও তাঁর এই টান ছিলো আবেগ-মেশানো ভালোবাসায় সিক্ত। জয়তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। জন্মদিনে আমদের প্রণতি।

লেখক : কবি ও সংযুক্ত সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়