নিউজ ডেস্ক: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতি সংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত “এসডিজি কস্টিং এন্ড ম্যাক্রোইকোনমিক্স: স্পেন্ডিং নিড্স ফর অ্যাচিভিং সিলেকটেড এসডিজি’স” শীর্ষক সভায় মূল বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। উল্লেখ্য যে, এ সময়ে তিনি জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষ্যে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশান্স নেটওয়ার্কের পরিচালক জেফরী সাচ এর আয়োজনে অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেন জাতি সংঘের উপ-মহাসচিব মহামান্য মিস আমিনা জে. মোহামেদ।
অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে বিশেষ করে অল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য জাতি সংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে তহবিল ঘাটতি দুর করার লক্ষ্যে নীতি নির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংগঠন, শিক্ষক সমাজ, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারী খাতকে একটি কাঠামোয় নিয়ে আসা যায়। অংশগ্রহণকারীরা এই লক্ষ্যসমূহ অর্থায়নের উদ্দেশ্যে মাল্টি-সেক্টর পদ্ধতিতে তহবিল সমাবেশের লক্ষ্যে তাঁদের বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
জেফরী সাচ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে তহবিল ঘাটতি দুর করার উপায় নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
প্রফেসর ইউনূস অর্থায়নের প্রাতিষ্ঠানিক দিকগুলো নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন যে, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অর্থায়নের পরিমাণ নয় বরং যথাযথ মানুষের কাছে যথাযথ জায়গায় অর্থটা পৌঁছানোই বড় কথা। তিনি আরো বলেন যে, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষদেরকে আর্থিক সেবা থেকে বঞ্চিত করে এসেছে।
তিনি দরিদ্র মানুষদের জন্য পৃথক অর্থায়ন ব্যবস্থার সুপারিশ করেন। তিনি বেকার তরুণদেরকে উদ্যোক্তায় রূপান্তরিত করতে সোশ্যাল ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল ফান্ড সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে, টাকার ব্যবহারটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন যে, বৈষম্য কমিয়ে আনা টেকসই উন্নয়নের একটি অন্যতম লক্ষ্য। অথচ পৃথিবী জুড়ে বৈষম্য প্রতিনিয়ত যেভাবে বেড়ে চলেছে সে বিষয়ে আমরা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছিনা। অর্থায়ন বড় কথা নয়, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান তৈরীর মাধ্যমে টেকসই উপায়ে অর্থের প্রবাহটা দরিদ্রদের দিকে চালিত করা। দানশীলতা শেষ পর্যন্ত দরিদ্রদের কোনো উপকারে আসেনা।