নূর মাজিদ : ‘এবারের নির্বাচন নির্ধারণ করবে আমরা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকশ্রেণী দ্বারা পরিচালিত হব নাকি আমরা জনগণের শাসনে বিশ্বাসী এবং জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন শাসনব্যবস্থা তৈরি করব। এটাই হবে এবারের নির্বাচনের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য। একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থা আমাদের জন্য কিছুই করেনি, শুধু সমস্যার সৃষ্টি করেছে।’
এই কথাগুলো এবারের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বলেছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে, উপরোক্ত কথাগুলো তার আগেও আরেকজন রাজনীতিবিদ সুকৌশলে ব্যবহার করেছিলেন ক্ষমতায় আসীন হতে। তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ডন প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারণ, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারনার অনেক কিছুই অনুকরণ করেছেন ইমরান খান। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিচারে এই দুই রাষ্ট্রনেতার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হলেও, তারা দুজনেই জনপ্রিয় দক্ষিনপন্থি নেতা। তাই উভয়ের নির্বাচনী প্রচারনাতে রয়েছে দারুণ মিল।
বিশেষ করে, ক্ষমতায় আসার আগ থেকেই পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর রাজনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন ইমরান। সুচতুর কৌশলে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন নানা আলোচিত ও সমালোচিত মন্তব্য করে। ডন জানায়, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পও একই কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। ফলে, জনগণ তাকে ভুলে যাবার অবকাশই পাননি।
এছাড়াও, ট্রাম্পের রাজনীতি নিয়ে প্রচলিত প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ভঙ্গিমাও সাবলীলভাবে রপ্ত করেছিলেন ইমরান খান। তার প্রচারণা কর্মীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সর্বদাই ট্রাম্পের নির্বাচনী কর্মীদের মতো উদ্ভাবনী কৌশলের আশ্রয় নেন। বিশেষত, দুর্নীতি দমন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি ইমরান খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জনগণকে দিয়েছিলেন তাতে উভয় দেশের জনগণই সাড়া দিয়েছে, কারণ তারা ভেবেছেন এই দুই নেতা আগে কখনই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হননি তাই তারা নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণে কাজ করবেন। দ্য ডন
আপনার মতামত লিখুন :