শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাইক্ষ্যংছড়ির আদিবাসীদের জুম চাষে বাম্পার ফলন

হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়িঃ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীদের আদিপেশা জুম চাষ। অধিকাংশ পাহাড়ি এলাকার মানুষ জুম চাষের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। জুম চাষ ফলনের সময় বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি,ফলজ বীজ বপন করে থাকে। ফসলের মধ্যে মারফা, মিষ্টি কুমড়র, টিটকরলা, বাঙ্গী, ভূট্টা, তিল, তুলা, মরিচ কাকনচাল, বিনি চাল, ও ধান অন্যতম।

প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া আর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আরম্ভ হয় জুমে ধান কাটার উৎসব। জুম কাটার এ প্রক্রিয়া চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এই জুম ধানের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করে রাখে সাড়া বছরের খোরাকী। তাই জুমের ফসল ভাল হলে হাসি ফুটে জুমিয়াদের মুখে।

নাইক্ষ্যংছড়ি ও তার আশপার্শ্বের উপজেলায় বসবাসকারী আদিবাসী পরিবারগুলো জুম চাষ করে থাকে। চার মাস পরিচর্যা করার পর এখন জুমিয়া পরিবার গুলো ব্যস্ত ফসল কেটে ঘরে তোলায়। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এবার বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে ৯৮০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।

এদের মধ্যে নিড়িখা, উফশি, পিডি, ককরো, বিন্নি গেলং, কানভূই কৃষি বিভাগের তথ্য মতে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১৭৮ মেট্রিক টন। তবে এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা গতবছরের চেয়েও বেশী হবে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের। এদিকে জুমের ফলন ভাল হওয়ায় খুশি জুমিয়ারাও ।

ফলন ভাল হওয়ায় জুমিয়া পরিবার গুলোর সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফারুক হোসেন ।

পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী পরিবার গুলো জুমের ধানের উপর ই নির্ভর করে। ফসল ভাল হলে পাহাড়ের সহজ সরল এই মানুষগুলো দুমুঠো খেয়ে বছরটা পার করতে পারে। আর ফলন ভাল না সাড়া বছর তাদের কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়। জুম চাষের বিষয়ে কথা বলতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচির সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আমাদের সময় ডট কমকে জানানা, পাহাড়ি আদিবাসীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর জুম চাষিদের ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলও জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়