শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:১৭ দুপুর
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হুইল চেয়ারে চলছে বাংলাদেশের কৃষি

মতিনুজ্জামান মিটু : ষোলো দফা প্রতিবন্ধকতার বোঝা নিয়ে হুইল চেয়ারে চলছে বাংলাদেশের কৃষি। বিভিন্ন পর্যায়ের চাষি ও কৃষিবিদদের আলোচনায় দেশের কৃষির এই অশনি সংকেত উঠে এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও পুরস্কারপ্রাপ্ত সফল কৃষিজীবী পাবনার আব্দুল জলিল (কেতাব) মন্ডল ওরফে লিচু কেতাব এবং রেজাউল করিম অভিন্ন কথায় বলেন, বাংলাদেশের কৃষির মহাবিপর্যয় আসছে। বর্তমানে হুইল চেয়ারে চলছে। দেশের কৃষির হাল সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, দেশের কৃষি প্রতিবন্ধি। জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশের কৃষি যে সমস্যা নিয়ে চলছে তা আজও কেটেনি। সুবিধা বলতে দেশের কৃষকের কিছু নেই।

সম্প্রতি কৌশলগতভাব চলমান কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার ১৬ দফা প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে তা দূর করার তাগিদ দিয়ে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৮ তৈরী করা হয়েছে। ক্রমাগত আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ও কৃষি শ্রমিক কমাসহ কৃষি খাতের মূল ১৬টি বাঁধার মধ্যে রয়েছে; প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের আধিক্য, মাটির স্বাস্থ্যের ক্রমানবতি, সেচ পানির অপ্রতুলতা ও অদক্ষ ব্যবহার, দানাদার ফসল উৎপাদনে বেশি গুরুত্ব দেয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিমিত মাত্রায় মানসম্মত উপকরণ ব্যবহারে অসচেতনতা, চলতি মূলধনের অভাব, কৃষি যান্ত্রিকিকরণ কাংখিত পর্যায়ে না পৌছান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের দূর্বলতা, সুসংগঠিত সমন্বিত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার অভাব, বাজার সংযোগ সৃষ্টি এবং কৃষি ভিত্তিক ব্যবসায় অনগ্রসরতা, কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরে অপেক্ষাকৃত ধীরগতি, কৃষি সম্প্রসারণ এ্যাপ্রোচের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, তৃণমূল পর্যায়ে পর্যাপ্ত কার্যকর আইসিটি ব্যবস্থাপনার অভাব এবং শিক্ষা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কাংখিত সমন্বয়ের অভাব।

জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি-২০১৮ সম্পর্কে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, বাড়তি জনসংখ্যার নানাবিধ দরকারে কৃষি জামির অকৃষি কাজে ব্যবহার বছরে শতকরা ০.৭৬ ভাগ হারে বেড়ে চলেছে। ফলে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র ৮.৫০ মিলিয়ন হেক্টর। দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে হয়েছে মাত্র ০.০৫৪২ হেক্টর। দেশের কৃষকদের মধ্যে ভূমিহীন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষির সংখ্যাই শতকরা ৮৮ ভাগ। এদের মধ্যে অনেকেই বর্গা নিয়ে জমি চাষবাস করে থাকেন। দেশে ভূমিহীন চাষির সংখ্যা শতকরা ৫৩ ভাগ, প্রান্তিক চাষি ২৪ ভাগ, ক্ষুদ্র চাষি ১১ ভাগ, মাঝারি চাষি ১১ ভাগ ও বড় চাষির সংখ্যা মোট কৃষকের শতকরা এক ভাগ। জমির অসম অধিকার ও মালিকানা কৃষিতে স্থায়িত্বশীল বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ও কার্যকর ভূমি ব্যবহারে বাধা হিসেবে কাজ করে। খাদ্যাভ্যাসের কারণে দেশে দানাদার ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বেশি। তাই কৃষি উৎপাদন বহুমুখিকরণ এবং উচ্চদামের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ নজর দেয়া হয়নি। মূল্য সংযোজনেও আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা না গেলে দেশের কৃষির চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা যাবেনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়