ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর কল্যাণপুরে জেএমবির বড় ধরনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের দুই বছর পরও মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ খ্যাত তাজ মঞ্জিলে ‘অপারেশন স্ট্রম-২৬’ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হন। এই হামলায় নিহতদের সঙ্গে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার একটি যোগসূত্র ছিল। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আরো কয়েকটি হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল তাজ মঞ্জিলে। অভিযানে নিহত হন- আব্দুল্লাহ, আবু হাকিম নাইম, তাজ-উল-হক রাশিক, মতিয়ার রহমান, আকিফুজ্জামান খান, সেজাদ রউফ অর্ক, জোবায়ের হোসেন ও রায়হান কবির ওরফে তারেক ওরফে ফারুক। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অভিযানের পর জাহাজ বিল্ডিং পুলিশ সিলগালা করে দেয়। দেড় বছর পর পুলিশ বাড়িটি খুলে দেয়।
অভিযানের পর মিরপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) শাহজালাল আলম ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, তামিম আহম্মেদ চৌধুরী, ইকবাল, রিপন, খালিদ, মামুন, সারোয়ার জাহান মানিক, জুনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ। এদের মধ্যে অভিযান চলাকালে রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান আহত অবস্থায় আটক হন। রাকিবকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে। রাকিবের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানোর সময় নব্য জেএমবির প্রধান তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়। ৮ অক্টোবর আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে একটি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হন সারোয়ার জাহান মানিক।
সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, জঙ্গিরা সাধারণত একেক জায়গায় নাম পাল্টে সাংগাঠনিক নাম ব্যবহার করে। কল্যাণপুরের জঙ্গি অভিযানের ঘটনায় যেসব জঙ্গি পলাতক রয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের অন্য অভিযানে নিহত হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা এখনও নিশ্চিত কোন তথ্য পাইনি। তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অনেকটা গুছিয়ে এনেছি। এ বিষয়ে খুব শিগগির চার্জশিট দেয়া হবে। সূত্র : ইত্তেফাক