শিরোনাম
◈ আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ ◈ গ্যাসসংকট: কমছে শিল্প উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ◈ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের ফোনালাপ, কী কথা হলো? ◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি  

প্রকাশিত : ০৩ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০১৮, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খেলায় জুয়া ধরার বিধান

সাইদুর রহমান : ইসলামে জুয়ার কোন স্থান নেই। জুয়ার মাধ্যমে কোন এক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জুয়ার কারণে অনেকে সর্বহারা হয়। জুয়ার বহু খারাপ দিক রয়েছে যা সুস্পষ্ট। শরীয়তে জুয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া হারাম ও নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা ও লটারি এসবই শয়তানের কাজ। তোমরা এগুলো থেকে বিরত থাক।

আশা করা যায়, তোমরা সফল হতে পারবে। নিশ্চয়ই শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে তোমাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে। তাই তোমরা এসব জিনিস থেকে বিরত থাকবে কি?’ (সূরা মায়েদা : ৯০-৯১)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা আপনাকে (নবী) মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, উভয়ের মধ্যেই রয়েছে মহাপাপ।’ (সূরা বাকারা : ২১৯)

হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা: শুধু জুয়াকেই হারাম করেননি, বরং জুয়ার ইচ্ছা প্রকাশকেও গুনাহ সাব্যস্ত করেছেন। যে ব্যক্তি অপরকে জুয়া খেলার জন্য ডাকবে তাকেও গুনাহর প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কিছু সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অপরকে জুয়া খেলার প্রতি আহ্বান করবে, তার উচিত কিছু সদকা করে দেয়া।’ (বুখারি শরিফ)

বর্তমান যুগে খেলায় জুয়া ধরার দৃষ্টান্ত জাহিলী যুগে পাওয়া যায়। জাহেলিয়াতের যুগে ঘোড়দৌড়ে জুয়ার প্রচলন ছিল। দুই ব্যক্তি ঘোড়দৌড়ের প্রতিযোগিতায় নামত এবং পরস্পরে এ চুক্তিতে আবদ্ধ হতো, যে পরাজিত হবে সে বিজয়ীকে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ দেবে।

রাসূলুল্লাহ সা: একেও জুয়ার অন্তর্ভুক্ত করে হারাম ঘোষণা করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ) এ ধরণের জুয়া খেলা বর্তমান খেলার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। বর্তমানে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী শুরু হয়েছে এই অবৈধ জুয়াবাজি। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়াবাজির মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোন খেলায় কোন দল জিতবে কোন দল হারবে, কোন ওভারে কয় রান , কয়টা ছক্কা চার ,কয় উইকেট পড়বে, কয়টা বল ওয়াইড-নো হবে ইত্যাদি।

যে কারণে জুয়া অবৈধ। জুয়া হারাম হওয়ার মৌলিক বিষয়গুলো হচ্ছে : ১. কিমার বা জুয়া দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে সংঘটিত একটি ভারসাম্যহীন চুক্তি। ২. এ চুক্তিতে নিজের সামান্য পরিমাণ সম্পদ বাজি ধরে অন্যের বিপুল পরিমাণ সম্পদ শোষণের এক অভিনব কৌশল। ৩. জুয়ায় অপরের অর্থসম্পদ শোষণ ও উপার্জন অনিশ্চিত- এমন কোনো বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়, যা হওয়া না হওয়া উভয় সম্ভাবনাই সমানভাবে বিদ্যমান থাকে।

৪. জুয়ায় দু’পক্ষের একপক্ষ সমূলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর অপরপক্ষ কোনোরূপ বিনিময় ছাড়াই প্রথম পক্ষের অর্থসম্পদ লুটে নেয়। ফলে একপক্ষ জিতে লাভবান হয়, আর অপরপক্ষ হেরে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে চুক্তিতেই এ চারটি মৌলিক বিষয় পাওয়া যাবে, সেটি জুয়া হিসেবে পরিগণিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়