শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৮, ০৩:০০ রাত
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৮, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্যালুট সকল আন্দোলনকারীকে

মো. বিন ইয়ামিন মোল্লা : তারা জানতো, এই দাবিটি এই দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর দাবি। দীর্ঘদিন থেকে কোটা বৈষম্য এবং বঞ্চনা তাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু একটি ডাকের অপেক্ষায় ছিল। তারা শুধু একটি সাহসী, ত্যাগী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব চেয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিঃস্বার্থ মনোবাসনা নিয়েই শুরু তাদের এই পথ চলা। মামুন, রাশেদ, ফারুক, নুরেরা ন্যাচারাল লিডার। তারা শূন্য থেকে এই আন্দোলন শুরু করেছে।

একজন দু'জন করে করে মানুষকে বুঝিয়েছে। মৃত্যুর গলিপথে ঘুরে ঘুরে তারা বুকের পাটা টান করে ক্যাম্পেইন করেছে। চার পাঁচ জন মানুষকে সামনে রেখে ও থ্রেট উপেক্ষা করে গলা উঁচিয়ে শ্লোগান দিয়েছে, ভাষণ দিয়েছে। তখন মিডিয়াও তাদের তেমন তুলে ধরতো না, সারা দেশে বর্তমান অবস্থার মত লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের সুসংগঠিত বেড়াজালও ছিলো না। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতা না যে, কেউ ফুঁ দিলে উড়ে যাবে, ধাওয়া দিলে মাঠ ছেড়ে পালাবে। তারা মধ্য রাতে বোনদের কান্নার শব্দ পেয়ে নিশ্চিত আক্রমণকে উপেক্ষা করেও তাদের রক্ষা করতে ছুটে গিয়েছে।

ওই সমস্ত নেতাদের সাথে তাদের গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে, যাদের নেতা হওয়ার যোগ্যতা নেই। তেল মারা, পা চাটা, লবিং করা, কমিশন নেয়া, নিজের জান মাল দিয়ে নেতার দিল খুশি করা, কৃত্রিমভাবে বিশৃংখলা, নৈরাজ্য তৈরি করে নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনীর শক্তি হাইলাইট করা, সিন্ডিকেট তৈরি করে অসহায়দের শোষণ করা, উড়ে এসে জুড়ে বসে এরাই। প্রতিনিধিত্বের নামে লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। নিজ স্বার্থের জন্য সাধারণ ছাত্রদের আবেগ নিয়ে নাটক তৈরি করে। রাশেদ, মামুন, তারেক, ফারুকেরা জন্ম থেকেই দুঃসাহসী। তারা নেতা হয়েই জন্মিয়েছে। তারা সাধারণ ছাত্র। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাই তারা সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সাধারণ ছাত্রদের জন্য কথা বলে।

নিজেদের ব্যক্তিগত সোনালী ভবিষ্যৎকে উপেক্ষা করে তারা তাদের প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা সেকেন্ড সাধারণ ছাত্রদের চিন্তায় অতিবাহিত করে। এই ২০১৮ সালের বাংলাদেশ ধন্য যে, তাদের মত নিঃস্বার্থ অকুতোভয় ছাত্র নেতৃত্ব পেয়েছে, যারা শুধু নিজেদের জীবন বাজি রেখেই না, নিজেদের পরিবারকেও অনিশ্চিত সংকটে ফেলে সাধারণ ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষায় বীরের মত লড়ে যাচ্ছে। কোটা আন্দোলনের প্রত্যেকটি নেতা প্রত্যেকটি আন্দোলনকারী ২০১৮ সালের গৌরবের ইতিহাস। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। স্যালুট সকল আন্দোলনকারীকে।

পরিচিতি : যুগ্ম-আহবায়ক, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়