শেখ নাঈমা জাবীণ: পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী করাচিতে ভ্রাম্যমাণ কুকুরের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। এখানে ডিংকি বা বডুর নামে পরিচিত একটি দ্বীপ কুকুরদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে পশু অধিকার বিষয়ের দুরাবস্থা এবং মুসলিম দেশে বিরাজমান কুসংস্কারের কারনে কুকুরের প্রতি মানুষের অমানবিক চিত্র পাওয়া যায়।
কারচির কাছে আরব সাগরের বুকে ছোট বড় বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপগুলিতে খাদ্য,তাজা ফলমূলের অভাব থাকা সত্ত্বেও এ দ্বীপসমূহ এসব আশ্রয়হীন শত শত কুকুরের বিকল্প আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। তাদের খাদ্যের অভাব পুরণ করে করাচির কিছু জেলেরা যারা উপকূলে জালফেলে মাছ শিকার করে। সমুদ্র উপকূলে কুকুরগুলো জেলেদের কাছ থেকে খাবারের অপেক্ষায় নিরব প্রতিক্ষায় থাকে। কে কুকুরগুলোকে প্রথম এখানে এনেছিল তা জানা যায়নি কিšুÍ জেলেদের ধারনা গ্রাম থেকে তাড়া খেয়ে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। তারা সমুদ্রে থেকে তীরে ভেসে আসা মরা মাছ এবং ছোট প্রানী খেয়ে বেঁচে থাকে এবং তৃষ্ণায় দ¦ীপের ভেতরের পুকুরে জমে থাকা লবনাক্ত পানি পান করে। যখন জেলেরা সেখানে আসে তারা তাদের পায়ের পাতায় ভর করে খাবারের জন্য চঞ্চল অপেক্ষায় সামনের পা দুটো উঁচু করে থাকে । বড়কুকুরগুলো ছোটগুলেকে তাড়া করে খাবারের ভাগথেকে বঞ্চিত করার জন্য কিন্তু জেলেরা সবচেয়ে ছোটটিও যেন খেতে পায় সে দিকে খেয়াল রাখে।
সেখানে কুকুরদের সাথে সুখ দু:খ ভাগাভাগি করতে আসা জেলে আজিজ জানায়, ‘মানবতাবোধ সম্পন না হলে মানুষ তার পরিচয়কে কিভাবে তুলে ধরবে, মানুষের মত তাদেরও ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে। যদি আমরা ক্ষুধা তৃষ্ণা অনুভব করি তবে তাদেরটাও আমরা অনুভব করতে পারবো।’ সূত্র: ইয়ন নিউজ