আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৭ সালে সারা বিশ্ব থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে অর্থ পাঠিয়েছেন ভারতীয় প্রবাসিরা। এসময় তারা ৬৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ বেশী।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ২য় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এই খাতে দেশটির আয় ১৯.৭ বিলিয়ন ডলার। ৩য় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে প্রবাসী শ্রমিকরা ১৩.৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এই খাতে ভারতের আয় ছিলো মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার। ২৬ বছরে এই খাতে দেশটির আয় বেড়েছে ২৩ গুণ! এই তালিকায় ভারতের পরেই অবস্থান করছে চীন। এই খাতে চীনের আয় ৬৪ বিলিয়ন ডলার। ৩য় অবস্থানে থাকা ফিলিপাইনের আয় ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ৪র্থ স্থানে খাকা মেক্সিকান প্রবাসীরা নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৩১ বিলিয়ন ডলার। ৫ম স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। আফ্রিকান এই দেশটির আয় ২২ বিলিয়ন ডলার। আর ২০ বিলিয়ন ডলার আয় করে ৬ষ্ঠ স্থানে আছে পাকিস্তান। বিশ্বজুড়ে এই বছর রেমিটেন্স আরো বাড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওয়াল্ড ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রবাসী আয়ের সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে তেলের বর্ধিত দাম বাহরাইন, ওমান, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করা কর্মীদের আয় বৃদ্ধি করবে।
ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পেয়েছে কেরালা। দেশটির মোট প্রাপ্ত রেমিটেন্সের ৪০ শতাংশই পেয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি। ১২.৭ শতাংশ রেমিটেন্স পেয়ে ২য় অবস্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। ৩য় স্থানে থাকা তামিলনাড়– পেয়েছে রেমিটেন্স আয়ের ১২.৪ শতাংশ। ৭.৭ শতাংশ রেমিটেন্স আয় করে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ। আর ৫ম অবস্থানে থাকা উত্তর প্রদেশের আয় ৫.৪ শতাংশ। তবে রেমিটেন্স বাড়লেও দেশটির জিডিপিতে প্রবাসীদের অবদান কমছে। ২০১৭ সালে জিডিপিতে প্রবাসীদের অবদান ছিলো ২.৮ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে একই ছিলো। তবে গত ৬ বছরে জিডিপিতে রেমিঠ্যান্সের অবদান ১.২ শতাংশ কমে গেছে। বিজনেস টুডে
আপনার মতামত লিখুন :