শিরোনাম
◈ ডিবি হারুন-অর-রশিদের ‘মুখোমুখি ইউনূস’ ভিডিও ভুয়া: যুক্তরাষ্ট্রে তিনি প্রকাশ্যে আসেননি ◈ জুলাই সনদে সই করেছেন যেসব দলের নেতারা ◈ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তার রদবদল ◈ আমেরিকায় গ্রিন কার্ড লটারি থেকে ৩ বছরের জন্য বাদ ভারত ◈ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ◈ আবারও জেন জি’দের বিক্ষোভ, এবার উত্তাল পেরু, পদত্যাগে অস্বীকৃতি প্রেসিডেন্ট হোসে জেরির, জরুরি অবস্থা জারি (ভিডিও) ◈ আসামে সেনা ক্যাম্পে উলফা জঙ্গিদের গুলিবর্ষণ, তিন সেনা সদস্য আহত ◈ জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে ‘জুলাই যোদ্ধাদের রাস্তায় নামা লজ্জাজনক’, মন্তব্য জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ◈ আসলে জুলাই যোদ্ধা কারা, গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের নিয়ে কেন বিতর্ক? ◈ ফুটবল নি‌য়ে তৃণমূ‌লে অসাধারণ কা‌জের জন‌্য এএফসির পুরস্কার পেলো বাফুফে

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৮, ০৪:০২ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৮, ০৪:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোগীরা রমজানে কিভাবে চিকিৎসা নিবেন

ডা. বেলায়েত হোসাইন আরিক : অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা ভঙ্গ হবেনা। তবে ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। স্যালাইন, গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক কিছু শিরাপথে নেওয়া যাবে না। এগুলো ছাড়া যেকোনো ওষুধ ইনজেকশন হিসেবে নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। যেকোনো ধরণের চোখ, নাক ও কানের ড্রপ, ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে। ওষুধ মুখে চলে আসলে তা না গিলে কুলি করে বাহিরে ফেলতে হবে। হার্টের রুগীর ব্যথা উঠলে নাইট্রোগ্লিসারিন ট্যাবলেট বা স্প্রে জিহ্বার নিচে ব্যবহার করা যাবে।

রোজা রেখে কেউ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে, সে চাইলেই রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারবে। এই জন্য তাকে কাফফারা (একটানা ৬০ টি রোজা) দিতে হবেনা। তবে পরে অবশ্যই রমজান শেষে যেকোনো সময় এটি কাজা আদায় করে নিতে হবে। গর্ভবতী এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায় এমন মা'দের জন্য রোজা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে যে রোজাগুলো বাদ যাবে, পরবর্তীতে যখন তার জন্য সহজ হবে এবং বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকবেনা, তখন কাজা আদায় করে নিতে হবে। মেয়েদের পিরিয়ডের রক্ত বের না হওয়া পর্যন্ত রোজা ভংগ হবেনা। পিরিয়ড শুরুর পর রোজা রাখা এবং নামাজ পড়া যাবেনা। যে রোজাগুলো মিস যাবে, রমজান শেষে সেগুলো কাজা আদায় করতে হবে। তবে নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।

পায়খানার রাস্তায় কিংবা যোনিপথে ট্যাবলেট, সাপোজিটরি ব্যবহার করা যাবে। প্রসাবের রাস্তায় ক্যাথেটার করলে রোযা নষ্ট হয় না। রোযা রেখে দাঁত উঠানো যাবে। ল্যাব পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজা নষ্ট হবেনা। সুস্থ সবল ব্যক্তির রক্ত দান করলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে রক্তদাতা দুর্বল অনুভব করলে রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারেন। এই জন্য কাফফারা দিতে হবে না, পরে শুধু একটি রোজা কাজা করলেই হবে। ইনসুলিন নিলেও রোজা ভংগ হবেনা। কিন্তু ইনসুলিন নেওয়ার পর যেহেতু খাবার খেতে হয়, তাই রোজা থাকাকালীন অবস্থায় নেওয়া খুব রিস্কের হয়ে দাড়ায়।

তাই এটার সকালের ডোজ হিসেবে ইফতার এবং রাতের ডোজ সেহেরির সময় এডজাস্ট করে নিতে হবে। যোনিপথে বা পায়খানার রাস্তায় কোন পরীক্ষা যেমন চঠ, উজঊ, এনোস্কোপ করলে রোযা নষ্ট হয় না। অনিচ্ছাকৃতভাবে যেমন আহত হয়ে কিংবা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে রোজা নষ্ট হবে না। রেফারেন্সঃ 9th Fiqh Medical Seminar, Morocco. (সারা বিশ্ব থেকে নামকরা আলেমগন ও মুসলিম চিকিৎসকগন মরক্কোর এই সেমিনারে সবাই একমত হয়ে এই বিষয়ে ফতোয়া দেন)।  প্রশ্নোত্তরে সিয়াম ইু ডঃ আবু বকর মুহম্মদ জাকারিয়া Standing committee for issuing fatwa, Kingdom of Saudi Arabia

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়