নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকার বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটি এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, “ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টারে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালানো হয়। ‘স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট’ নামের এই পরীক্ষায় স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণযান ‘ফ্যালকন-৯’ এ কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। স্পেসএক্সের নতুন ভার্সনের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটের গর্জন শোনা গেছে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ব্লক ৫ এ। তাই এটি সম্পূর্ণ কার্যকর। এর ফলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পথ তৈরি হয়েছে। এখন এই পরীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য স্পেস এক্সের সদর দফতর লস অ্যাঞ্জেলসে পাঠানো হয়েছে।”
তথ্য পর্যালোচনা শেষে দ্রুতই উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলেও টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে। এটি তৈরির জন্য ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বিটিআরসির সঙ্গে টার্ন কি পদ্ধতি কোম্পানিটির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস কয়েক মাস আগে ৩ দশমিক ৭ টন ওজনের ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর প্রস্তুতের কাজ শেষ করে ফ্রান্সের কানে একটি ওয়ার হাউসে রাখে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য ফ্লোরিডায় পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে পাঠানো হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে গেলে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে বাংলাদেশের। এছাড়া এই স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেমন নির্ভরতা কমবে অন্য দেশের ওপর, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। সূত্র : পার্স টুডে