মেহেদী হাসান : চালকরা পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিচ্ছে, হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। সড়কের এ দূর্ঘটনাগুলো আমাদের সবকিছুর নীতি বিবর্জিত হওয়ারই ফল। নূন্যতম যে নৈতিকতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, আইনের শাসন, জবাবদিহীতা যদি আমাদের না থাকে তাহলে কোন সরকারকে প্রয়োজন হয় না রাষ্ট্রের জন্য। সড়কের দূর্ঘটনা-নৈরাজ্য নিয়ে আলাপকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দূর্নীতিগ্রস্থ পুলিশ টাকার বিনিময়ে দূর্নীতি করলেও তারা মানবাধিকার খর্ব করতে পারে না। কারণ, মানুষের জীবনের হুমকির চেষ্টা করার অধিকার কারো নাই। নীতি বিবর্জিত হয়ে গেলে মানুষ এ ধরণের কাজ করে। গরু, ছাগল, বাছুর যে কিনতে পারবে সেই গাড়ি চালাতে পারবে এ রকম অবস্থা হলে কিছু বলার নাই। লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ ছাড়া কেউ যেন গাড়ির চালকের আসনে বসতে না পারে তা কর্তৃপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে ঢাকা নগরীতে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিশৃঙ্খল অবস্থা রোধ করতে হবে। যেখানে বাস স্টপ থাকবে শুধু সেখানেই বাস থামবে। পৃথিবীর যে কোন সমাজে নূন্যতম যে নিয়ম কানুন রয়েছে তা মেনে চলার জন্য তদারকি করতে হবে। যে তদারকি দরকার তা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। এগুলোর দিকে নজর না দিলে অবস্থার উন্নতি ঘটবে না।
তিনি আরও বলেন, যে মানুষগুলোর অঙ্গহানি হচ্ছে, যারা মারা যাচ্ছে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কী ধরনের ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে এবং তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেছে তা আমরা দেখেছি। যেখানে আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, আইনের পূর্ণভূমি নেই, অপরাধীরা অপরাধ করে ক্রমান্বয়ে পালিয়ে আইনের উর্ধ্বে থাকছে সেখানে অবস্থাটাতো এ রকমই হবে। সড়ক দূর্ঘটনা থেকে উত্তরণের এক মাত্র পথ হচ্ছে আইনের শাসন পুরোপুরি কার্যকর করা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা, আইনের উর্ধ্বে কেউ থাকবে না তা উপলব্ধি করা।
আপনার মতামত লিখুন :