জান্নাতুল ফেরদৌসী : মাদারীপুরের ৪টি উপজেলায় ৮ নদ-নদী রয়ছে। নদ-নদীগুলো নাব্য সংকটে অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। নদীতে চর পড়ে কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান চলাচল। নাব্য সংকটের কারণে ৩০ বছর ধরে ১৫টির বেশি লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা আস্তে আস্তে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দ্রুত এই নদ-নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশ কর্মীরা।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের একাংশে পড়েছে আড়িয়াল খাঁ নদ। নদটিতে চর পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান চলাচল। এখন বোঝার উপায় নেই এই নদ দিয়ে এক সময়ে বড় বড় জাহাজ, স্টিমার ও লঞ্চ চলাচল করতো। একই অবস্থা কুমার নদ, ময়নাকাটা, শম্ভুক, পালরদী, বলিপদ্মা নদীসহ জেলার সবকটি নদ-নদীর। এলাকাবাসী বর্ষার সময়ে শুনতে পায়না প্রমত্তা ঢেউয়ের গর্জন। নদ-নদীগুলোর অধিকাংশ জায়গায় কচুরিপানায় ভরে ডোবা-নালায় পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, নাব্য হারিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদে পানি সংকটের কারণে ফসলি জমিতে আবাদ কমে গেছে। বড় বড় জাহাজ চলেছে লঞ্চ চলেছে। এখন তো কিছুই চলে না। পানির স্রোত থাকলে চাপে থাকতো। জমিতে সহজে আবাদ করা যেতো। আবার খনন করা হলে স্বাভাবিক হবে। তাহলে আমরা ভালভাবে চলতে পারবো।
পরিবেশ কর্মী সুবল বিশ্বাস বলেন, গ্রামের মানুষের নদীকেন্দ্রিক জীবন-জীবিকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, আবহাওয়া-জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত নদ-নদী খনন করা প্রয়োজন। জীব বৈচিত্র্য ভারসাম্য রক্ষায় কৃষি রক্ষার্থে খনন ও পুনঃ-খনন জরুরী।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, অবশ্য, যেসব নদ-নদী নাব্য সংকটে পড়েছে সেগুলোকে তাড়াতাড়ি পুনরায় খনন করা হবে। সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি নতুন রুট তৈরি করা হচ্ছে। নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে অবিলম্বে তা খনন করা হবে। সূত্র: সময় টিভি