শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:১১ সকাল
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বামীর পরকীয়া, রফিকের ঘরে ফিরতে চান না সোনিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : ১৭ বছর বয়সে রফিকের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনিয়ার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বধূ সাজে স্বামীর ঘরে ওঠেন। রফিক লেদ-মেশিনের দোকানে কাজ করেন। পুরান ঢাকার ভাট্টিখানা এলাকায় বাসা তাদের। বিয়ের পর সুখেই কাটছিল সোনিয়া ও রফিকের সংসার। এ সময়ে সোনিয়ার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে কন্যা সন্তান সোহানী।
বিয়ের ১০ বছর চলে যায়
। হঠাৎ আচরণ বদলাতে থাকে রফিকের। কারণে-অকারণেই সোনিয়াকে বক-ঝকা মারধর করতো সে। মেয়েকে স্কুলে সোনিয়াই আনা-নেয়া করতো। সোনিয়া মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাবার জন্য বের হলেই রফিক একজন মহিলাকে নিয়ে ঘরে আসতো। এমন কথা প্রতিবেশীরা জানালেও বিশ্বাস করতো না সোনিয়া। একদিন মেয়ের স্কুল আগে ছুটি হওয়ায় বাসায় আসে সোনিয়া। দেখে ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বেল দিলে দরজা খুলে দেয় রফিক ঘরের ভেতরে একজন মহিলাকে দেখতে পায় সে। সোনিয়া বলেন, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী নির্যাতন প্রতিরক্ষা সেলে কথা হয় সোনিয়ার সঙ্গে। সোনিয়া জানান, রফিককে ঘরে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেছে সে। এলাকার কমিশনার সালিশের মাধ্যমে কয়েকবার মীমাংসা করেছিল। কিন্তু তারপরও ওই মহিলার কাছে সবসময় যেত রফিক। মহিলার কাছ থেকে রফিককে ফিরিয়ে আনতে গেন্ডারিয়া থানায় নালিশ করে সোনিয়া। থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন রফিককে ডেকে ভালো হয়ে যেতে বলে। রফিক কিছুদিন ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখলেও ওই মহিলা আবার যোগাযোগ করে রফিকের সঙ্গে। এরপরই সোনিয়ার জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। সোনিয়া বলেন, আমার পুরো শরীরে রফিকের মাইরের আঘাতের চিহ্ন। সে আমাকে বলতো আমি যদি তাকে তালাক না দেই তাহলে সে আমাকে নৌকায় নিয়া মাঝ নদীতে ডুবায় মারবে। তারপরও আমি ওরে তালাক দেই নাই। একদিন সে আইসা বলে ধলেশ্বর নদীর পারে নতুন কাজ পাইছে সেখানে ঘর ভাড়া নিছে। আমারে আর মেয়েরে সেইখানে নিয়া যাবে। আমি বিশ্বাস কইরা ওর সঙ্গে যাইতে রাজি হই। রফিক আমাদের নদীর কাছে নির্জন জায়গায় একটা ঘরে নিয়া উঠায়। রফিক কাজে যাই বইলা সেই যে ঘর থেইকা বাহির হয় আর ফিরা আসে না। আমি আর আমার মেয়ে পাঁচ দিন না খাইয়া ছিলাম। আমার কাছে কোনো টাকাও ছিল না। মোবাইল ফোনও ছিল না। আমি আর আমার মেয়ে নদীর পাড় দিয়া হাঁটতে হাঁটতে বাজারে আইসা উঠি। একজন লোক আমার কাছে সব শুইনা আমাদের গাড়িতে উঠাই দেয়। গাড়ি আইসা থামে পোস্তগোলায়। সেখানের একটা দোকান থেইকা আমার ভাইকে ফোন দিলে ভাই আইসা আমারে মায়ের বাড়িতে নিয়া যায়। আমি আর রফিকের ঘরে ফিরা যাইতে চাই না। সে আমাদের মাইরা ফেলবো। আমি শুধু চাই রফিক যেন আমার আর সন্তানের ভরণপোষণ দেয়। সূত্র : মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়